ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৮৬ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, দুই লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার অভিযানের অষ্টম দিনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, রোববার ১৩ হাজার ৮১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৮৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৭০০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১০টি মামলায় মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দশ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬ হাজার ১২টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৭৬৩টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৬৩ হাজার ৬৬৫টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ১৩২টি মামলায় মোট ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৫১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রোববার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৯৬৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮১৭টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৮৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪১৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬টি মামলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৪৬৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৮৮১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪৩৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৯১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৫টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৬৩৬টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩৯৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৮০৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫২৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫০৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ২৯১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭১৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৭৪টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

 
Electronic Paper