মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য থাকবে যাতে কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত বা কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বিক্রি না হয়। আমরা ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম করে দিচ্ছি। তারা সেটা দেখবে। গবাদি পশুর বাজারে মেডিকেল টিম কাজ করবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিমও এ নিয়ে কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানির জন্য যে পরিমাণ পশুর সরবরাহ দরকার তা দেশেই রয়েছে। আমরা বিদেশ থেকে একটা পশুও আমদানি করব না। দেশের খামারিরা চমৎকার পশু উৎপাদন করছেন। যা বাজারে দরকার তার চেয়ে বেশি উৎপাদন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।’

মন্ত্রী তার বক্তব্যে কোরবানির ডিজিটাল হাট প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে কোরবানির পশু বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’-এর উদ্বোধন করা হয়।

এটুআই ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই ই-হাটের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইসিটি ডিভিশন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।