ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুই মাস পরই আসতে পারে করোনার টিকা

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সফলতার বিষয়ে ক্রমেই আত্মবিশ্বাস বাড়ছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার-এর। গত ৭ জুলাই মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়ে দেবে। এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক আলাপ শুরুর কথা জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই এগিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও গবেষণার কাজ চললেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে এবারে জার্মান কোম্পানি বায়ো এন টেক’র সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবন পর্যায়ে থাকা ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করল ফাইজার। 

ফাইজার’র সিইও জানিয়েছেন, গত ১ জুলাই প্রকাশ হওয়া প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল তাদের আরও আশাবাদী করে তুলেছে। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সঠিক পথে থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বোরলা জানান, এফডিএ’র অনুমোদন পাওয়ার আগেই তারা এর উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) নামে একটি জিনভিত্তিক পদ্ধতিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তবে প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্বীকার করেছেন, এখন পর্যন্ত সংক্রামক রোগ ঠেকাতে এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন কোথাও অনুমোদন পায়নি।

এই মাসের শেষ দিকে বড় আকারে ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে ফাইজার। এতে বিশ্বের ১৫০টি স্থানের ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে।

 

 
Electronic Paper