ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাছে রাসায়নিক ব্যবহার করলে ৭ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৮, ২০২০

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করলে ৭ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২০’ উপস্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৮ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।

পরে সেটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটিতে মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে অন্যূন দুই বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে। পাশাপাশি নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধানও বিলটিতে রাখা হয়েছে।

১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি রহিত করে বাংলায় নতুন আইন করতে এ বিল আনা হয়েছে। বিলর খসড়ায় বলা হয়েছে—সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে।

মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিলটি পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতাদের পণ্যের গুণগত ও প্রক্রিয়াগত মানসম্পর্কিত চাহিদা, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখিতা এবং আন্তর্জাতিক আজারের বিস্তৃতি ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মোকাবিলায় বিদ্যমান অধ্যাদেশের সীমবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। এ সব কারণে বিলটি আনা হয়েছে।

 
Electronic Paper