উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প
রোকসানা আলম শশী উদ্যোক্তা ও সিইও, মেমসাহেব
🕐 ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৬, ২০২০
আমি শশী। থাকি সিলেট বিভাগের ছোট্ট একটা শহর সুনামগঞ্জে। মফস্বলই বলা যায়। সেখান থেকেই স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করি।
অনেক শখ ছিল আর্টের ওপর লেখাপড়া করার কিন্তু আব্বুর চাকরির কারণে বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে হয়েছে। আর্ট নিয়ে পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে থিতু হওয়ার কারণে সে ইচ্ছা শেষ পর্যন্ত ইচ্ছাই থেকে গেল। কিন্তু ছবি আঁকা ছেড়ে দিইনি। সুযোগ পেলেই কাগজ আর রঙ-পেন্সিল নিয়ে ছবি একেছি।
নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘শিশু ও মানবাধিকার’ বিষয়ে একটা নিবন্ধ লিখে এবং সেই বিষয়ভিত্তিক ছবি এঁকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে পুরস্কার লাভ করি।
মাঝেমধ্যে টুকটাক ছবি আঁকতাম নিজের জামাতেই। চিন্তা ছিল অন্যদের থেকে নিজের পরিধেয় কাপড়গুলোকে একটু আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলা। জামায় ছবি এঁকে এঁকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুললামও।
একদিন এক ছোট বোনের আবদারে তার দুটো জামায় হ্যান্ড পেইন্ট করে দিই, সেটার বিনিময় মূল্য পাই সুন্দর একটা উপহার। সেটাই ছিল আমার কাজের প্রথম প্রাপ্তি। সেদিন থেকেই শুরু হয় আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে চলা।
স্বপ্ন ছিল নিজের একটা ব্র্যান্ড হবে। আমার আঁকিবুঁকিগুলো মূলত কাপড়, কাঠ, কাঁচ, টিপ, কাগজের ওপর। মাঝে মাঝে নিজের বাসার দেয়ালকেও বানিয়ে ফেলি ক্যানভাস। নিজের কাজের ওপর ভরসা রেখে দশ মাস আগে আমি একটা পেইজ খুলি। যার নাম দিই ‘মেমসাহেব’। এতটা সহজ ছিল না এ পথ চলা। তারপরও হেঁটেছি, সাড়াও পেয়েছি।
অনেক চড়াই-উতরাই পেরুনোর পর এ বছর মার্চ মাসে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমার ছোট্ট ফেসবুক পেইজ একটা শপ-এ পরিণত হল। যেখানে আমার স্বাক্ষর থাকবে আমার পণ্যে।