ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

থেমে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা থমকে আছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারের অনুরোধে তা দুই মাস পিছিয়ে মে মাসে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৈঠকটি আর হয়নি। 

তবে করোনার কারণে এ বিষয়ে কোনো ফোরামেই আর কোনো কথা হয়নি।

ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিক সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে আগামী আগস্ট মাসেও বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর আগস্টে না হলে এ বছর বৈঠকটি আর না-ও হতে পারে। কারণ, নভেম্বরের শুরুতে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি সই করেছিল। এর পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ (জেডব্লিউজি) গঠন করা হয়। জেডব্লিউজির চতুর্থ ও শেষ বৈঠক হয় গত বছরের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে। বাংলাদেশ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেডব্লিউজির পঞ্চম বৈঠকটি করতে চেয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মিয়ানমারের কাছে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে মোট ৫ লাখ ৯৭ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে একসঙ্গে ৪ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এসব তালিকা থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নিতে তৈরি আছে বলে জানিয়েছে।

সাবেক কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ইস্যুতে জাতিসংঘ, ইইউসহ আন্তর্জাতিক জোট, পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। কিন্তু প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। চীন, জাপানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ়সম্পর্কের কারণে পাশ্চাত্যের দেশগুলো মিয়ানমারের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টিতে আগ্রহী নয়। তাই বুঝে-শুনে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়েই বসে আছে। তাদের উচিত মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়া।

 
Electronic Paper