৪০ বিচারক ১৮১ কর্মচারী আক্রান্ত, মৃত্যু ১
স্থায়ী আইনে পরিণত হচ্ছে ভার্চুয়াল আদালত আদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০২০
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ২৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ ঘোষণা করলে আদালতের কর্মকাণ্ড ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। দেশে বিচার ব্যবস্থায় চলে আসে স্থবিরতা। ফলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচার প্রার্থী জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত চালু করার নির্দেশ প্রদান করেন।
যার আওতায় আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট আদালতে অনলাইনের মাধ্যমে মামলা দাখিল করার নির্দেশনা পান। সরকার ভার্চুয়াল আদালত অধ্যাদেশকে একটি স্থায়ী আইনে পরিণত করতে যাচ্ছে এবং খুব শিগগিরই এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এই আইন পাস হলে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়েও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা যাবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা একটি অতি জরুরি বিধান। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ভার্চুয়াল আদালত চলতে পারে না। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে না দিয়ে একদিকে বিচার প্রার্থী ও অপরদিকে আইনজীবীরা সংকটে পড়েছেন। ভার্চুয়াল আদালতে কাজ করতে গিয়ে ৪ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত অধস্তন আদালতের ৪০ বিচারক ও ১৩৬ কর্মী এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪৫ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, ৩ জুলাই পর্যন্ত ১৭ বিচারক করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
একজন বিচারক হাসপাতালে এবং ২১ জন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, ২৪ জুন লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৗস আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।