মাস্ক-পিপিইর বাজারে সম্ভাবনার হাতছানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২০
প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে বিশ^ব্যাপী অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। শুরু হয়েছে নতুন অর্থনৈতিক মেরুকরণ ও বিনিয়োগ বহুমুখীকরণ। এ সময়ে চাহিদা বেড়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর। বিশেষ করে পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভসের চাহিদা আরও বেশি। কিন্তু করোনার উপত্তিস্থল চীন হওয়ায় দেশটি থেকে বিশে^র অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেবে। এতে বাংলাদেশের সম্ভাবনার দ্বার খুলতে যাচ্ছে। সরকারও এ সম্ভাবনা লুফে নিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বমানের পিপিই উৎপাদনকারী দেশের কাতারে যোগ দিয়েছে। দেশের টেক্সটাইল খাতের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্র্যান্ড বেক্সিমকো গত ২৫ মে মার্কিন ব্র্যান্ড হেইনস-এর কাছে ৬৫ লাখ পিপিই গাউনের একটি চালান পাঠিয়েছে। এ চালান পৌঁছাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ফেমা) কাছে। যদিও করোনার প্রকোপে পশ্চিমা অনেক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের গার্মেন্ট থেকে অর্ডার বাতিল করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে দেশের অনেক পোশাক শ্রমিক। তবে বেশকিছু পোশাক কারখানা করোনাকালে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পিপিই তৈরি করে সংকটকালে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এখন মাস্ক, গ্লাভস ও গাউনের মতো পিপিই তৈরি করে রপ্তানি করছে বাংলাদেশের বহু পোশাক কারখানা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আগে থেকেই মাস্ক, গ্লাভস রপ্তানি করে। এখন বিশ্বমানের পিপিইও রপ্তানি শুরু করেছে। এখন চীনের হারানো বাজার বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়া খুব সহজ হতে পারে। এ জন্য এসব পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সহায়তার পাশাপশি প্রণোদনার কথাও ভাবছে সরকার। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম বলেন, এ সম্ভাবনাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাজার ধরতে সরকার নীতি সহায়তার পাশাপাশি প্রণোদনার কথাও ভাবছে। এজন্য ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কারখানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিজিএমইএ বলছে, পিপিইর চাহিদার কারণে অনেক পোশাক কারখানার মালিক আশাবাদী হচ্ছেন। এ বিষয়ে বিজিএমইএর মুখপাত্র খান মনিরুল আলম শুভ বলেন, কমপক্ষে ৩০টি কারখানা করোনা মহামারির শুরু থেকেই পিপিই উৎপাদন করছে। এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা সীমিত আকারে পিপিই তৈরি করত। কিন্তু তারাও পশ্চিমা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী এখন পুরোদমে সুরক্ষা উপকরণ তৈরির কাজে নেমেছে।