ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এবার ‘হটস্পট’ ধরে লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৭, ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তারে বিশ্বের শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকে গেছে বাংলাদেশ। ফলে সংক্রমণের কেন্দ্র বিবেচনায় রাজধানীর এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পথে যাচ্ছে সরকার। দু-একদিনের মধ্যে ঢাকার কিছু এলাকায় ‘পাইলট ভিত্তিতে’ লকডাউন শুরু করা হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কোভিড-১৯-বিষয়ক মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান।

গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, হটস্পট বা ক্লাস্টার এরিয়া বিবেচনায় শুরুতে আমরা পাড়া-মহল্লা বা ওয়ার্ড এলাকা লকডাউন করব। শুরুতে সীমিত পরিসরে ঢাকার মধ্যেই লকডাউন করব। কারণ, ঢাকাতেই কোভিড-১৯ এর রোগী বেশি। পরে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য জেলা শহরেও লকডাউনের পথে হাঁটব।

মহামারির বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত ৩১ মে। এ সময় থেকে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর হারের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন হিসাবে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে করণীয় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হাবিবুর রহমান খান বলেন, আমরা আইসিটি বিভাগের সহায়তায় কোন কোন এলাকা লকডাউন করব- তার ম্যাপিং শুরু করেছি। এতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যোগ দিয়েছেন। পুরো কাজটি শেষ হয়নি। শেষ হলেই আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকা লাল বা হলুদ জোনে ভাগ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বড় এলাকা না ধরে ক্ষুদ্র পরিসরে লকডাউন করতে চায়।

হাবিবুর বলেন, যেসব এলাকায় রোগী বেশি সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ বলে ঘোষণা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হবে। একই পদ্ধতিতে ইয়েলো ও গ্রিন জোন চিহ্নিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে ইয়েলো জোনে কেউ খুব জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে চাইলে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার পুরো কক্সবাজার পৌরসভাকে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০ জুন পর্যন্ত কক্সবাজার পৌর এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে। করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সরকারের জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ধারণা, আগামী এক সপ্তাহে বাংলাদেশ সংক্রমণের এ গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৪৬ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৬৩৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ২৬ জনে। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

 
Electronic Paper