ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিন মাসে ১৩ হাজার করোনা রোগী সুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৭, ২০২০

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫২১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৫ জন; যা মোট আক্রান্তের ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ সময়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৬৩৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৮৪৬ জনের মৃত্যু এবং ৬৩ হাজার ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো।

গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৬৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন ৬৩ হাজার ২৬১ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে লিঙ্গভেদে পুরুষ ৭১ শতাংশ ও নারী ২৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন। ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ৭ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৮৪৬ জন।

এ পর্যন্ত যত কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৯ শতাংশ। তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ১১-২০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৯ ও ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে আটজন, সিলেটে দুজন, রাজশাহীতে তিনজন, বরিশালে দুজন মারা গেছেন। মৃত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ২৫ ও বাড়িতে নয়জন মারা গেছেন। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।

 
Electronic Paper