ডিজাস্টার ফোরামের পর্যবেক্ষণ
দেশে বজ্রপাতে তিন মাসে ১৩৬ মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৬, ২০২০
দেশে প্রতিবছরই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এটাকে সরকার ‘দুর্যোগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত তিনমাসে বজ্রাঘাতে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শুধু গত বৃহস্পতিবারই নিহত হন ১৬ জন। চলতি বছর প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মৃত্যু ঠেকাতে বজ্রপাত বেশি হয় এমন এলাকা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সেখানে নিরাপদ বলয় তৈরি করতে হবে।
ডিজাস্টার ফোরাম গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশে প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতের হার এবং বজ্রপাতের সময়সীমা ব্যাপকহারে বেড়েছে। এতে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২০ এর মে পর্যন্ত তথ্যমতে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ১৩৬ জন। এর মধ্যে কেবল এপ্রিলেই মারা গেছেন ৭০ জন। মে মাসে ৬০ জন।
ডিজাস্টার ফোরামের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত বজ্রাঘাতে মোট ৭৩ জন মারা গেছেন এবং ২৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ শিশু, পাঁচ নারী ও ৫৪ জন পুরুষ। এর মধ্যে ২১ এপ্রিল থেকে ১৮ মে’র মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৮ জন। ২০১৮ সালে বজ্রাঘাতে নিহতের ঘটনা ঘটে ২৭৭টি।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় কিছুদূর অন্তর অন্তর ইটের অস্থায়ী ঘর তৈরি করতে হবে। বজ্রঝড় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের বেশি থাকে না। মাঠে যারা কাজ করেন তারা যদি ওই সময়টা পাকা ঘরে আড়াল করতে পারেন তাহলে মৃত্যুহার কমবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ নঈম গওহার ওয়ারা বলেন, বজ্রপাত সংকুল এলাকায় লাইটেনিং এরেসটার লাগিয়ে নিরাপদ বলয় তৈরি করা সম্ভব। নেপাল সফলতার সঙ্গে এটা করছে।