লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার মূল হোতা নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৪, ২০২০
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ‘মূল হোতা’ মিলিশিয়া নেতা খালেদ আল-মিশাই দেশটির বিমান বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। এদিকে ওই হত্যাকা-ের জেরে দেশে আরও তিন মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ নিয়ে ভৈরবে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গত মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে গারিয়ান শহরের কাছে ওই হামলায় খালেদ আল-মিশাই নিহত হন।
এ বিষয়ে লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, খালেদ আল-মিশাই ছিলেন লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুসারী। বেনগাজীসহ অনেক তেলসমৃদ্ধ এলাকা খলিফা হাফতারের বাহিনীর দখলে রয়েছে। গত ২৮ মে ত্রিপোলি থেকে দূরে মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করে এক মানবপাচারকারীর সহযোগী ও স্বজনরা। এতে আহত হন আরও ১১ জন বাংলাদেশি।
এদিকে লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনার জেরে দেশে আরও তিন মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করেন। এ নিয়ে ভৈরবে দায়ের করা মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতাররা হলেন- ভৈরবের শম্ভুপুর গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. হেলাল মিয়া ওরফে হেলু (৪৫), তাতারকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. খবির উদ্দিন (৪২) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়া সরকারের ছেলে শহীদ মিয়া (৬১)। সন্দেহভাজন হিসেবে শম্ভুপুর গ্রামের জাফরের স্ত্রী মুন্নি আক্তার রুপসীকে (২৫) আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ ক্যাম্পের সিও লে. কর্নেল এফতেখার উদ্দিন জানান, নিহত মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব এবং আহত জানু মিয়া মানবপাচারকারী মো. হেলাল মিয়া ওরফে হেলু ও মো. খবির উদ্দিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রতিজন তিন লাখ টাকা দিয়ে লিবিয়া যান।
নিহত সাকিব, আকাশ, শাকিল এবং আহত সোহাগ দালাল তানজিল (বর্তমানে লিবিয়ায়), নাজমুল (তানজিলের ভাতিজা), জুবুর আলী এবং মিন্টু মিয়ার মাধ্যমে প্রতি জন চার লাখ টাকার চুক্তিতে অবৈধভাবে লিবিয়া যান। নিহত রাজন চন্দ্র দাস কুখ্যাত দালাল জাফর ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার রুপসী, মানিক, হিরা এবং শহিদ মিয়ার মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা দিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়া যান।
মানিক ও জাফর লিবিয়ায় থেকে মানবপাচারে নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে তাদের হয়ে লোক সংগ্রহ করা, আর্থিক লেনদেনসহ যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতেন শহিদ মিয়া, হিরা, মুন্নি আক্তার রুপসী এবং হযরত আলী। বাংলাদেশে তানজিলের মানবপাচার কারবার পরিচালনা করতেন তার ভাতিজা নাজমুল, জুবুর আলী এবং মিন্টু মিয়া।