ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাটশিল্প সম্প্রসারণে উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ০১, ২০২০

পাটশিল্প সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার। এক্ষেত্রে ঘোষিত প্রণোদনা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারে তৎপর থাকবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। মূলত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে পাট মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, নির্মল ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সবধরনের সহায়তা করবে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নিজ দফতরে করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দফতর/সংস্থাসমূহের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।

মন্ত্রী বলেন, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বাড়াতে ও পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নে কাজ করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাট চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষিত করা ও সার্বিকভাবে গুণগত মানসম্মত পাট এবং পাট বীজ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের ৩৯০ মেট্রিক টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতকে আরও শক্তিশালী, নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বস্ত্রখাতের ‘পোষক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদফতর তথা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে তাঁতিদের সম্ভাব্য ক্ষতির মূল্যায়ন ও এ ক্ষতি উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাতের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় তাঁতিদের শতকরা পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০০ ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতিদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক তাঁতিদের ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক করোনা প্রাদুর্ভাবের সংকট মোকাবেলায় জরুরি কৃষিসেবা (বিএডিসি এবং খাদ্য অধিদফতর সরকার ঘোষিত জরুরি কৃষিসেবার আওতাধীন) নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাটের বস্তা সরবরাহ নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় করেছে। এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল পাট খাত।

 
Electronic Paper