ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২২ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে এই পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ জন। বর্তমানে এ ভাইরাসে শনাক্ত ৩৮ হাজার ২৯২ জন রোগী রয়েছেন। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৩৭৫ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৬৬ জন। আজ আক্রান্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৪৩টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল ৪ হাজার ৪১৬টি। আগের দিনের চেয়ে আজ ৩ হাজার ৪২৭টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৪৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ১৫টি। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৫ হাজার ৪০৭টি। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ৬০৮টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ২০ জন পুরুষ, দুজন নারী। ২১ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, একজন মারা গেছেন বাসায়। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন এবং সি‌লেট বিভাগের দুজন বাসিন্দা রয়েছেন। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজধানীতে পাঁচজন, ঢাকা জেলায় তিনজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, নরসিংদীতে একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীতে তিনজন, কুমিল্লায় দুজন, কক্সবাজারে একজন, চাঁদপুরে দুজন, সিলেটে একজন এবং মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন। বয়সের দিক থেকে ০ থেকে ১০ বছর বয়সের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন এবং সত্তরোর্ধ্ব একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত মঙ্গলবারের (২৬ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন মারা গেছেন। পাঁচ হাজার ৪০৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৬৬ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় যেমন মৃত্যুও বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে শনাক্ত রোগীও। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ২৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় গত ২২ মে’র বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে এক হাজার ৯৭৫ জনের, যা জানানো হয় গত ২৫ মে’র বুলেটিনে।

বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৮১ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৯৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৮০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭৮৯ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৭১ হাজার ১০৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বরাবরের মতোই ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানা বুলেটিনে।

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সাড়ে ২৪ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

 
Electronic Paper