বসুন্ধরায় দুই হাজার বেডের করোনা আইসোলেশন হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তোফাজ্জল হোসেন
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৯, ২০২০
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,‘করোনার প্রকোপ ঠেকাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দুই হাজার আইসোলেশন বেড করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কাজ শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাসা থেকে ভিডিও কলে সরাসরি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
পাশাপাশি রাজধানীর নর্থ সিটি সেন্টারকে ১৪'শ বেড এবং উত্তরার দিয়া বাড়ির পুর্ব নির্ধারিত ৪টি বিল্ডিং এ আরো ১২'শ বেডের আইসোলেশন সেন্টার করার কথাও বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর এক জিনিস নয় এবং এ ব্যাপারে মানুষের মনে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশে সাড়ে ৫'শ এর উপড়ে ভেন্টিলেটর রয়েছে। পাশাপাশি আরো ৩৮০টি নতুন ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে। আইসিইউ আর ভেন্টিলেটর এক জিনিস নয়।একটি আইসিইউ ইউনিটে একাধিক ভেন্টিলেটর থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ১২৫৭টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ৫২০টি এবং প্রাইভেট ৭৩৭টি। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় আছে ৯২৬টি এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩৪১টি। এগুলোর মধ্যে শুধু করোনার জন্য ডেডিকেটেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখা আছে ১০০-১৫০ টি। তবে, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে অন্যান্য আইসিইউ করোনা মোকাবেলায় সংযুক্ত করা যাবে।
অন্যদিকে দেশে জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালসমূহের মোট ৬৫৪টি কেন্দ্রে বর্তমানে মোট শয্যাসংখ্যা রয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি এবং প্রাইভেট হাসপাতালের মোট ৫,০৫৫ টি কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৫৮৭ টি শয্যা রয়েছে। এদের মধ্য থেকে দেশব্যাপী ৬৬৯৩টি বেড শুধু করোনার জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরো উল্লেখ্য, অনলাইন ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুহিত খান জানান, তাদের এসোসিয়েশনের আওতায় থাকা ৬৯টি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন হলে যেকোন হাসপাতাল সরকার চাইলে করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা হবে। এখন থেকে এই এসোসিয়েশনের আওতাধীন হাসপাতালগুলো ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে ও দেশের মানুষের সেবা প্রদান করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনলাইন ভিডিও প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর সানিয়া তাহমিনা ও আইইডিসিয়ার এর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা।