ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নগরীতে চুরি ডাকাতি রোধে সজাগ পুলিশ

এম কবীর 
🕐 ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০২০

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে দেশকে বাঁচাতে সারাদেশে ছুটি। এরফলে কার্যত লকডাউন পুরো দেশ। বন্ধ রয়েছে জরুরি কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠান। শুধু অফিস –আদালতই নয় বন্ধ সব মার্কেট, শপিং মল, সিনেমা হল। যতদূর দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ, এমন দৃশ্য দেশে দুই ঈদের সময় দেখা গেলেও সে সময় গণপরিবহন চলায় শহরে কিছুটা হলেও প্রাণ থাকে। এবার চিত্র একেবারে আলাদা। 

আর তাই তালা দিয়ে রেখে যাওয়া দোকানপাটে চুরি ডাকাতির আশংকা দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গত বুধবার রাতে একটি ফার্মেসিতে মুখে মাস্ক পরে রাতের বেলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশ বলছে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর। তারপরও এই ধরনের দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তারা।

তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা শহরের দোকানপাটে তালাবদ্ধতার কারণে যে কেউ চুরি ডাকাতি করতে পারে তবে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসন সক্রিয় না হলে হারাতে পারেন তাদের রেখে আসা মূল্যবান জিনিসপত্র।

সাইফুল ইসলাম নামে ইসলামপুরের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, সরকারের ঘোষণার পরেই দোকানে অনেক টাকার মালামাল রেখে বাসায় অবস্থান করছি। এখন ওইসব দোকানে যে চুরি ডাকাতি হবেনা সেটা নিশ্চয়তা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই দিতে হবে। অন্যথায় আমাদের মালামাল চুরি হতে পারে লোকসমাগমের অনুপস্থিতে।

সাইফুলের মতো সকল ব্যবসায়ীদের একই দাবি তাদের অনুপস্থিতে নগরের সকল শপিংমল ও দোকানপাটে প্রশাসন যেন কঠোর নজরদারি রাখে।

এদিকে পুলিশের ভাষ্যমতে, করোনাভাইরাসের কারণে নগরের মানুষ তাদের বাসা বাড়িতে অবস্থান করলেও তাদের রেখে যাওয়া সম্পদের পাহারাদার পুলিশ। তাদের অনুপস্থিতে যাতে কেউ চুরি ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের মতো কোনো ঘটনা কোনো অপরাধী ঘটাতে না পারে সেই দিকে নজর রাখছে প্রশাসন।

বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, নগর ফাঁকা থাকার কারণে যেকোনো অপরাধী যেন সেই সুযোগ কোনভাবেই নিতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরের প্রতিটি মহল্লায় পুলিশের পাশাপাশি নাইট গার্ডদের সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোনভাবেই ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতির মতো ঘটনা না ঘটে সেটি কঠোরভাবে নজরদারি করতেও বলা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো কঠোর নজরদারির পরও গত বুধবার রাতে একটি ফার্মেসিতে ডাকাতির ঘটনা বিসয়য়ে তিনি বলেন, এটা সত্যি দুঃখের বিষয়, সিসি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল থাকার পরও কিভাবে সেটি ঘটেছে তার জন্য পুলিশ বিষয়টি অধিকতর তদন্তে নেমেছে।

সেখানকার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। চুরি ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও নজর রাখছে।

গত ২৭ মার্চে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, নভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধে প্রায় সবার ঘরে অবস্থানের কারণে সুনসান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে চুরি-ডাকাতি না করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।

 

 
Electronic Paper