ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঢাকা উত্তর সিটিতে চলছে ঘরে অবস্থানে উদ্ধুদ্ধকরণ

তোফাজ্জল হোসেন
🕐 ৪:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত করোনা ভাইরাস গণসংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক দুরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটির ১০ অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করছে।

রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলাও দণ্ড (জেল/জরিমানা) প্রদানের মত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও উন্মুক্ত স্থানে করোনা মোকাবেলায় তরল স্প্রে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ৮টি পানির গাড়িতে মোট ১১ বার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক তরল ছিটানো হয়। 

জানা গেছে, নগরীর যে সব স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে বিশেষ করে শেওড়া ও সংলগ্ন এলাকা, মিরপুর সেকশন ১০, ১৩, ১৪ ও সংলগ্ন এলাকা, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর ও সংলগ্ন এলাকা, টেকনিক্যাল মোড়, সনি সিনেমা হলের সামনে, রাইনখোলা, চিড়িয়াখানা রোড, পৃষ্ঠা ২ কলাম ৪
ঢাকা উত্তর সিটিতে চলছে

কমার্স কলেজ এলাকা, মোহাম্মদপূর টাউনহল, রায়েরবাজার ও সংলগ্ন এলাকা; মধুবাগ, মগবাজার, খিলগাঁও এলাকা, কলেজগেইট, তেজগাঁও, নতুনবাজার, ১০০ ফুট, ভাটারা সড়ক ও সংলগ্ন এলাকা।

৮টি পানির গাড়ির মাধ্যমে গতকাল মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ছিটানো হয়। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে, মসজিদের সামনে মশক নিধনকর্মীগণ হ্যান্ড স্প্রে ও হুইলব্যারো মেশিনের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করেন।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির ফেসবুক পেইজে প্রচার অব্যাহত আছে।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হচ্ছে। বস্তিবাসীসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে হাতধোয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হয়। অসহায়, ছিন্নমূল ও দুঃস্থদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া উত্তরায় ৪৩৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধনকর্মীদের মাঝে গ্লাভস বিতরণ করা হয়। পাতলা গ্লাভস ৪৩৮ জোড়া, মাস্ক ৪৩৮ টি, বুট-জুতা ৪৭ জোড়া ৪৭ জন স্থায়ী মশক নিধন কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। পিপিই১৫ টি আরবান রিজিলিয়েন্স প্রকল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের কাছাকাছি যাদের কাজ করতে হয় তাদেরকে দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য তাঁরা উদ্বুদ্ধ করছেন। ডিএনসিসির পক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনা ভাইরাস গণসংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণসহ সামাজিক দুরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা ও দণ্ড ( জেল/জরিমানা) প্রদানের মত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।

 
Electronic Paper