ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিক্রি বাড়ছে বইমেলায়

মৃন্ময় মাসুদ
🕐 ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০

অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ পর্যায়ে এসে বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়, সঙ্গে বেচা-বিক্রিও। এখন আর ঘুরে দেখা নয়, হাতে করে পছন্দের বই নিয়ে ফিরছেন বইপ্রেমীরা।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই লোক সমাগম ঘটে মেলা প্রাঙ্গণে। দেখতে দেখতেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ। শেষভাগে যারা মেলায় আসছেন তাদের বেশির ভাগই আগে থেকে করে আনা তালিকা ধরে বই কিনছেন। এর বাইরেও নেড়ে-চেড়ে দেখে নতুন কোনো বই পছন্দ হলে তালিকায় যুক্ত করছেন সেটি।

রাজশাহী থেকে বইমেলায় এসেছেন আক্তারুল ইসলাম। সেখানকার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনি। বইমেলায় আসার উদ্দেশ্য স্কুলের লাইব্রেরির জন্য বইকেনা। তার সঙ্গে এসেছেন স্কুলের আরও দুই শিক্ষক।

আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘আসি আসি করে এতদিন বইমেলায় আসা হয়নি। আজ চলে এলাম। মেলায় আসার মূল উদ্দেশ্য হলো- স্কুলের লাইব্রেরির জন্য বইকেনা, সঙ্গে একটু ঘোরাঘুরিও হলো।’

পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন এনামুল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি বছর বইমেলায় আসি। আজ নিয়ে এবার তিন দিন এলাম। বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি, তাদের জন্য কয়েকটি বই কিনব। তা ছাড়া এবার মেলার পরিবেশ অনেক ভালো। পরিবার নিয়ে ঘুরতে ভালোই লাগছে।’

মিনার প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আসাদ জানান, এখন যারাই মেলায় আসছেন তাদের বেশির ভাগই আগে এসে তালিকা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। সেই তালিকা ধরে ধরে বই কিনছেন। এর বাইরেও যারা আসছেন তারাও হাতে করে দুই-একটা বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে মেলার এই শেষ সময়ে বিক্রি বেড়ে গেছে।

এদিকে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মনিরুজ্জামান বাবলুর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘কালু মিয়ার পিএইচডি’। বইটি প্রকাশ করেছে গতিধারা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন প্রয়াত লেখক ও চিত্রকর শিকদার আবুল বাসার। অগ্রপাঠ লিখেছেন সাংবাদিক জাকির মজুমদার। বইটি পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থমেলার ৫১৪-৫১৫-৫১৬ নম্বর স্টলে।

 
Electronic Paper