ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দ্রুত যোগ দিতে চান নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

দ্রুত যোগদান নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ৪৩ জেলায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বারবার প্রাথমিক শিক্ষাখাতে নিয়োগ বিলম্বের পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

মানববন্ধনে বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অংশ নেন। তারা বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছি। অথচ যারা হাইকোর্টে রিট করেছে তারা মেধায় টেকেনি। রিটকারীদের জন্য আমরা বারবার পিছিয়ে যাই। এটা চলতে পারে না। বারবার নিয়োগ বিলম্বের পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অতিদ্রুত নিয়োগ নিশ্চিত করে পদায়ন করতে হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই যোগদান কার্যকর করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা বলেন, আপনি বলেছেন মুজিববর্ষের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার বাংলাদেশ যুব বিশ^কাপ চ্যাম্পিয়ন। তবে আমাদের ১৮ হাজার ১৪৭ জনের পরিবারে মুজিববর্ষের আরেক বড় পুরস্কার আমাদের চাকরি পাওয়া। মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন শেষ হওয়ার আগেই আমাদের পুরস্কার উপভোগ করার সুযোগ দিবেন বলে আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ লাখ প্রার্থীর মধ্যে গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে আমরা ১৮ হাজার ১৪৭ জন উত্তীর্ণ হই। গত ১৩ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আমাদের ১৮ হাজার ১৪৭ জনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ৬১ জেলার প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিয়োগপত্র ডাকযোগে পেতে থাকি। এমনকি ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে যোগদানপত্রের স্মারক নম্বরও পেয়ে যাই। আমরা চলমান চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে যোগদানের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আকস্মিকভাবে জানতে পারি ৪৩টি জেলার যোগদান স্থগিত হয়েছে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে। এমন অবস্থায় আমরা পূর্বের চাকরি হারিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে বেকার অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

 
Electronic Paper