সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চলমান অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের বিকাশ টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা হচ্ছেন সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন। তাই এই বন্ধন যত বেশি মজবুত ও দৃঢ় হবে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশও তত বেশি টেকসই হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে ভাষণে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। জনগণ অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনাদেরকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন। তাই আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া-পাওয়া খুবই সীমিত। অল্পতেই তারা খুশি হন। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা থাকে প্রয়োজনের সময় তারা যেন তাকে কাছে পায়। তাই আপনারা নির্বাচনী এলাকার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং জনগণের প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে দাঁড়াবেন। এতে দল ও সরকারের সাথে জনগণের সম্পর্ক ও যোগাযোগ মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, বিরোধী দল সংসদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাদের গঠনমূলক সমালোচনা ও ভূমিকা সংসদকে কার্যকর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ও বিগত সংসদে সরকারি ও বিরোধীদল সংসদকে কার্যকর করতে যে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সংসদ হয়ে উঠবে সরকারের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র এগিয়ে যাবে একই সাথে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন বিশ্বে রোলমডেল। সংসদ সদস্য হিসেবে আপনারাও এই সাফল্যের গর্বিত অংশীদার। জনগণ যাতে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল ভোগ করতে পারে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব।
ভাষণের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা আন্দোলনের সৈনিক এবং বিভিন্ন সময় দেশ ও জাতির জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা যোগ দেন।
এর আগে ৭টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি হামিদ ও তাঁর পত্নী রাশিদা খানম তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দরবার হলে প্রবেশ করেন এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়।