মাতারবাড়িতে বন্দর হলে আমদানি খরচ কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর ড্রেজিংসহ বেশিরভাগ কাজ করছেন জাপানিরা। ফলে নদীর নাব্য বাড়ছে। এ সমুদ্রবন্দর হলে দেশের আমদানি খরচ অনেক কমবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নেই। ফলে বিদেশ থেকে এলপিজি বা এলএনজি আনতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বড় জাহাজ এখানে নোঙর করতে পারে না। জাহাজগুলো সিঙ্গাপুরে নোঙর করানোর পরে সেখান থেকে ১ লাখ ২০ টনের মাল আনার জন্য ১০টি ছোট জাহাজ পাঠানো হয়। এতে খরচ অনেক বাড়ে।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি শিগগিরই চালু হবে। ১ হাজার ২৩০ মেগাওয়াটের প্রকল্প চালু হয়ে যাবে দুই মাসের মধ্যে। এর প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সুমদ্রবন্দরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের একটির বেশি গভীর সুমদ্রবন্দর থাকতে পারে। আমাদের জানানো হয়েছে, এখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে গিয়ে সুমদ্রের নাব্য বেড়ে গেছে। সেখানে ১৪ মিটার গভীরতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, ভাসানচরে অনেক বড় লেক আছে। এখানে রিসোর্ট হতে পারে। এটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। শুধু রোহিঙ্গা পাঠানোর বিষয়টি না ভেবে আমরা বিকল্প চিন্তা করতে পারি। দেশে অনেক গৃহহীন আছে এবং ভাসানচরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ আছে। তাই আমি সেখানে অন্য লোকদের পাঠানোর জন্য বলব। তবে এটি তার ব্যক্তিগত চিন্তা বলে জানান মন্ত্রী।