ফুল ফুটবে পাখি গাইবে বসন্তের দিনে
শফিক হাসান
🕐 ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
পহেলা ফাল্গুন আজ, বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। ঋতুরাজ বসন্ত ফুল ফোটার তোয়াক্কা করে না! বিষয়টি উপলব্ধি করেই কবি লিখেছেন- ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত! পাঠ্যবইয়ের পাতায় সব শিক্ষার্থীকেই মুখস্ত করতে হয় ‘ফাল্গুন-চৈত্র এ দুই মাস বসন্তকাল’। গ্রীষ্মের লু হাওয়া, শীতের কোণঠাসা ভাব, বর্ষার ভেজাভেজি পেরিয়ে বাঙালি জীবনে বসন্ত আসে অন্যরকম আমেজে। ‘বাঘকাঁপানো’ শীতের বিদায়ের পর ঋতুরাজের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সব শ্রেণির মানুষকে দেয় একটু স্বস্তির পরশ।
শরীর-মন জুড়িয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে। প্রাণে লাগে নতুন দোলা। গাছের সবুজ পাতায় দেখা দেয় ভিন্ন আমেজ। আমের মুকুলের ঘ্রাণ মাতোয়ারা করে তোলে সহজেই।
নগরজীবনে নানাভাবেই করা হয় বসন্ত উদযাপন। বসন্তবন্দনায় মেতে ওঠে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। সংস্কৃতিমনা মানুষ বাসন্তি রঙের পোশাক আর ফুল দিয়ে সেজে বরণ করে নেন বসন্তকে। তাদের ব্যতিক্রমী সাজের সঙ্গে মনে থাকে অফুরন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনা। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। সব শ্রেণির মানুষ উপভোগ করেন বাসন্তি আমেজ। বসন্ত বরণে আজ পহেলা ফাল্গুনে রাজধানী ঢাকা, দেশের বিভিন্ন শহর ও এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মনকাড়া সাজে চলতে-ফিরতে দেখা যাবে অনেককে।
কোকিলের সুমধুর গানে গ্রাম-বাংলার মানুষও পেয়ে যান বসন্তের আগমনধ্বনি! সব ঋতুরই প্রাসঙ্গিক ও অনিবার্য অনুষঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। বিরহিনী প্রেমিকাকে দিয়ে রোমান্টিক এ কবি গাইয়ে ছাড়েন- ‘আহা আজি এ বসন্তে, কত ফুল ফোটে কত পাখি গায়...’। ফুল ফুটবে, পাখি গাইবে বসন্তের দিনে- বাঙালি সংস্কৃতির অনিবার্য এ অনুষঙ্গও রঙ ছড়িয়ে যাবে দিকে দিকে। মনে, চেতনায় ও অনুভবে!