সহিংসতা এড়াতে সতর্ক পুলিশ
কেন্দ্রে সিসিটিভি নিশ্চিত করবে ইসি
এম কবীর
🕐 ১১:০২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে ব্যাপক পরিকল্পনা ও পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই সিটির সবকেন্দ্রই আনা হচ্ছে সিসিটিভির আওতায়।
বিরামহীনভাবে প্রায় এক মাস প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে, তবে শেষভাগে এসে এই উত্তাপ কিছুটা বাড়ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগও নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে। তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে তার অনেকগুলোর সমাধান দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে প্রার্থীদের প্রচারণা বা মিছিলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্যও বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রার্থীদের বেশ কিছু মিছিল ও প্রচারণায় পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রুটিন কাজ। যে সব প্রার্থী পুলিশকে অবহিত করে মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই পুলিশ আইনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দুই সিটির নির্বাচনের প্রচারণায় বেশ কিছু এলাকায় মেয়র ও কাউন্সিলদের মিছিলের সামনে পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডেই মিছিলে পুলিশের ইউনিফর্ম ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বনানী, শাহজাহানপুর, উত্তরা, পুরান ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচারণার সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকায় তারা সন্তুষ্ট। নিরাপত্তা আর সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য তারা মিছিল বা সমাবেশ করলে তা আগেভাগে থানা-পুলিশকে জানিয়ে রাখছেন, আর এতে পুলিশ সহযোগিতাও করেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেন এবং তাদের নিরাপত্তার দিকটি চিন্তা করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিয়ে সাদা পোশাকেও কাজ করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিশন এবার তার ক্ষমতা প্রয়োগে দ্বিধা করছে না, ভোটারদের একটি সুন্দর পরিবেশে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছেন তারা।
এদিকে ঢাকার দুই সিটির সব ভোটকেন্দ্রকেই সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম ও দক্ষিণের আবদুল বাতেনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কমিশন থেকে। ভোটের আগের দিন ভোটের দিন সব কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি। তবে ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে সিসিটিভি থাকবে না।