ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আইজিআর পদে শহীদুল আলম ঝিনুকের যোগদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক-নিবন্ধন (আইজিআর) পদে যোগদান করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত নম্বর-৬ এর বিশেষ জজ (জেলা জজ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম ঝিনুক। রোববার অপরাহ্নে মহাপরিদর্শক-নিবন্ধন পদে যোগদান করেন।

বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ থেকে শহীদুল আলম ঝিনুকের বর্তমান পদ থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদফতর, ঢাকার মহাপরিদর্শক পদে প্রেষণে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

শহীদুল আলম ঝিনুকের জীবন-বৃত্তান্ত
শহীদুল আলম ঝিনুক দশম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ সালে বিচার ক্যাডারে যোগদান করেন এবং কুমিল্লা, ঢাকা ও ফেনীতে সিনিয়র সহকারী জজ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৩ সালে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন এবং কুমিল্লা জজ কোর্টে কর্মরত থাকাকালীন ২০০৭ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে গাজীপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ সালে আইন ও বিচার বিভাগে উপ-সচিব পদে দায়িত্ব পালন করাকালে ২০১৫ সালে জেলা জজ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন এবং ঢাকায় স্পেশাল জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালে ২০১৫ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি সুনামগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য নিউইয়র্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম ও দিল্লি গমন করেন।

ছাত্রজীবনে তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন, ১৯৭৯ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসিতে মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করে প্রথম বিভাগে এবং ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্মানসহ এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।

ছাত্রজীবনে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিলেন এবং জাতির পিতার আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে জাতির পিতার আদর্শের ধারক ছাত্র সংগঠনের চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল শাখার সভাপতি, একই সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-ছাত্রীদের সরাসরি ভোটে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫-৮৬ সালে জাতির পিতার আদর্শের ছাত্র সংগঠনের এসএম হল শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পড়ালেখা ছাড়াও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে তিনি সবসময় জড়িত ছিলেন।

১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উপস্থিত বক্তৃতায় চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৭৮ সালে শিশু একাডেমি আয়োজিত মৌসুমী প্রতিযোগিতায় বিতর্কে চট্টগ্রামের চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তিনি সমাজসেবাসহ তার নিজ এলাকার শিক্ষা উন্নয়নে সক্রিয় রয়েছেন।

 
Electronic Paper