পুলিশ সদস্যের বুকে দুটি গুলির ছিদ্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
রাজধানীর মিরপুরে নিজের ইস্যুকৃত অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করা পুলিশ সদস্য শাহ মোহাম্মদ কুদ্দুসের (৩১) বুকে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপর তৈরি করা সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত আবদুল কুদ্দুস পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাধবপুর উপজেলার দেওগাও গ্রামের শাহ আব্দুল আহাদের ছেলে।
সংবাদ পেয়ে কাফরুল থানার এসআই মোজাম্মেল হক নিহত কুদ্দুসের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ভোরে সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে মাঠে কুদ্দুসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তার বুকে দুটি গুলির ছিদ্র রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুদ্দুসের ডিউটি ছিল সকালে। এ জন্য সে একটির লোডেড এসএমজি বন্দুক রিকুইজিশন নিয়েছিল। সেটা নিয়ে তিনি নিজের বুকে গুলি চালিয়েছে। তবে ভেতরে কয়টি গুলি আছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ ঘটনায় কুদ্দুসের সহকর্মী ও তার কাছাকাছি কয়েকজন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আত্মহত্যা করার কারণ জানতে চাইলে এসআই মোজাম্মেল জানান, আমরা শুনেছি তিনি অত্যন্ত মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তা থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছি।
জানা গেছে, আবদুল কুদ্দুস পারিবারিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করব না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো বড় হয়ে গেছে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে...।
তবে অবিবাহিতগণের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কী না—তা আগে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে পাত্রী কখনোই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোজখের মতো। সুতরাং সকল সম্মানিত অভিভাবকগণের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন। আল্লাহ হাফেজ।
নায়েক কুদ্দুস ২০১২ সালে কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশ লাইন মাঠে নিজের ইস্যুকৃত অস্ত্র দিয়ে নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে জানা গেছে।