গ্রামীণ আবহেই ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বিকাশ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনধারা শুরু হয়েছিল গোপালগঞ্জের সাধারণ একটি গ্রামে। সেই গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়া। তিনি বেড়ে উঠেছেন টুঙ্গিপাড়ার গ্রামীণ আবহে। আর এই গ্রামীণ আবহের মধ্য দিয়েই তার ভিতরে যোগ্য নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেছে।
নদীনালা, নিসর্গ, দুঃখ দৈন্যপীড়িত মানুষ আর আন্তরিক সামাজিক জীবনই ছিল টুঙ্গিপাড়ার বৈশিষ্ট্য। এই জীবনের মধ্যেই ইংরেজ শাসনের প্রতাপ, ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলন, নেতাজি সুভাষ বসুর বীরত্বব্যঞ্জক রাজনৈতিক আবির্ভাব কিশোর শেখ মুজিবকে নানাভাবে স্পর্শ করে, মনকে উদ্দীপ্ত করে।
ছোটবেলায় বেরিবেরি রোগ ও চোখের অসুখের কারণে তার শিক্ষা জীবনের প্রায় চারটি বছর নষ্ট হয়। ফলে বেশি বয়সে তিনি স্কুলজীবন শুরু করেন। তার রাজনৈতিক জীবনের জন্য এটা বেশ সহায়ক হয় বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। তার জীবনীকারদের মতে, রাজনৈতিক বোধ, আগ্রহ আর কৌতূহলে তিনি ছিলেন অন্য ছাত্রদের চেয়ে অগ্রগামী। সেই সুবাদে পিতার কর্মস্থল মাদারীপুরে ইসলামিয়া হাইস্কুলে পড়ার সময় তিনি নেতাজি সুভাষ বসুর রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। তের-চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় স্বদেশি দলের সঙ্গে যুক্ত হন। তৎকালীন মাদারীপুরের বিখ্যাত স্বদেশি অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র দাসের প্রতি অনুরক্ত হয়ে ওঠেন।
গ্রামের স্কুল, গ্রামের মানুষ, গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ছিল তার গভীর সম্পর্ক। তাদের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতেন তিনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকতে থাকতে যে যোগ্যতা ও গুণাবলি গড়ে উঠেছিল, তার একটা পরিশীলিত অর্থাৎ নাগরিক চরিত্রের রূপ তার মধ্যে আসতে থাকে। এভাবেই তিনি মানবিক বোধসম্পন্ন নেতা হিসেবে আপন যোগ্যতায় উচ্চস্তরে উঠে আসেন অন্যদের ছাপিয়ে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকেই তারুণ্যদীপ্ত কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।