রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় লস্কর-ই-তৈয়বা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮
উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাকিস্তানভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার অস্তিত্ব মিলেছে। গত বছরের আগস্ট মাসে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে লস্কর-ই-তৈয়বার আন্তর্জাতিক মানবিক কার্যক্রম ও তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থা ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের (এফআইএফ) নামে প্রকাশ্য কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছিলেন তারা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মুখে দ্রুতই গা-ঢাকা দেয় জঙ্গি সংগঠনটির কর্মী ও সংগঠকরা।
এদিকে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হতে পারে-বলে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার নামে জঙ্গিরা দীর্ঘদিন গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেসব এনজিও জঙ্গিদের সহযোগিতা করছে তাদের আমরা ব্ল্যাকলিস্টেড করে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআরের মাইগ্রেশন হেড যখন এসেছিলেন তখন বলেছিলাম আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী যেই শিকারটি খুঁজছে তারা হয়তো এখানে পেয়ে যাবে। তবে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী, তাদের নজরে রেখেছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নামে-বেনামে দীর্ঘদিন ধরে লস্কর-ই-তৈয়বা কাজ করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। নতুন করে আসা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে এবার তাদের প্রকাশ্য হতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন। শুধু রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই নয় কক্সবাজার এলাকাতেই সংগঠনটি বিস্তৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কা অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠনটির কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন স্থানীয় জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। তারা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া টেকনাফ এলাকায় মাদ্রাসাভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এবার দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর নামে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কাজ করেছে। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা প্রথম থেকেই প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবহিত করে এসেছে। কিন্তু জঙ্গিদের গোপন কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ প্রশাসন বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে যে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এফআইএফ নামের সংগঠনটি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকায় স্থাপিত ১৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। ডিসেম্বরের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তারা গা-ঢাকা দেয়। তবে গোপনে গোপনে রোহিঙ্গাদের মধ্যে তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম দিকে এফআইএফ নামের সংগঠনটি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানত না স্থানীয় প্রশাসন। কোনো ধরনের প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই শরণার্থী শিবিরের ত্রাণ কার্যক্রম চালাত সংগঠনটি। লুকিয়ে বা হঠাৎ এসে এফআইএফ কর্মীরা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে আবার গা-ঢাকা দিতেন। অনেকটা গেরিলা কায়দায় তারা এখানে ত্রাণ কার্যক্রম চালান। তাদের নির্দিষ্ট কোনো অফিসের অস্তিত্বও নেই বলে জানান ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারির তথ্য অনুযায়ী, করাচিভিত্তিক ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের (এফআইএফ) নাম রয়েছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারির কাউন্টার টেরোরিজমের তালিকায়।
জানা গেছে, লস্কর-ই-তৈয়বা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু তাদের নাম জানা যায়নি। তবে খোলা কাগজের অনুসন্ধান ও বিশ্বস্ত সূত্রের দেওয়া তথ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা ও স্থানীয় জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের নেতার নাম উঠে আসে, যারা লস্কর-ই-তৈয়বার কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার সরাসরি প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন, কুতুপালংয়ে অবস্থিত রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের বাসিন্দা মৌলভি শফি। তিনি ১৯৯২ সালে আগত শরণার্থী। ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হলেও তিনি অবাধে দেশে ও দেশের বাইরে যাতায়াত করেন। স্থানীয় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল প্রথম থেকেই। ক্যাম্পের বাইরে অবাধে যাতায়াতের সুবাদে তিনি দেশের অন্য সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। লস্কর-ই-তৈয়বার নামে সরাসরি কোনো সংগঠন না থাকলেও লস্কর-ই-তৈয়বার ছাত্র সংগঠন আল মোহাম্মদী স্টুডেন্টসের কার্যক্রম রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ক্যাম্পের বাইরে। বিশেষ করে টেকনাফ উখিয়াসহ কক্সবাজারের প্রত্যন্ত মাদ্রাসাগুলোতে গোপনে এ সংগঠনের কার্যক্রম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র। রোহিঙ্গাদের মধ্যে আল মোহাম্মদী স্টুডেন্টসের সরাসরি প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নিবন্ধিত বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রটি জানায়, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের আমির, হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারি, স্থানীয় বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা কুতুপালংয়ের ইউপি মেম্বার মৌলভি বখতিয়ার, টেকনাফ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও হেফাজত নেতা মৌলভি রফিক উদ্দিন, কক্সবাজার উপজেলা জামায়াতের নেতা শাহ আলম ওরফে সি লাইন শাহ আলম, কক্সবাজার শহর জামায়াতের নেতা ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আইয়ুব মোল্লাসহ বেশকিছু নেতৃস্থানীয় জামায়াত ও হেফাজত নেতা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এদের মধ্যে শাহ আলম রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন ও হামলা-মামলাসহ নানা সময়ে ৬টি নাশকতা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা মৌলভি বখতিয়ার এক সময় জামায়াতের রোকন ছিলেন। ২০০৯ এ ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর রাতারাতি আওয়ামী লীগের লোক বনে যান। আর আইয়ুব মোল্লা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। গত বছর আগস্টের পরপরই এফআইএফের হয়ে শামীম সাঈদীকে ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতেও দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকজন জামায়াতপন্থী জনপ্রতিনিধি ও জামায়াত নেতাদের সাহায্যে উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফের হোয়্যাইকং, হ্নীলা ও শামলাপুরে স্থাপিত অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এনজিওর নামে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি কার্যক্রম সংগঠিত করছে। আর তাদের কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও মদদ দিচ্ছে লস্কর-ই-তৈয়বাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী। বিভিন্ন সময় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নামে বাংলাদেশে এসেছেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সৌদি নাগরিক। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সাংগঠনিক কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা দেয় বলে জানিয়েছে সূত্র। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সন্দেহজনক আচরণের কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবরের দিকে বেশকিছু বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার ও কয়েকটি এনজিওর কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী খোলা কাগজকে জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গারা খুবই অসহায়। দেশ-মাটি-শেকড় ছেড়ে আসা এ মানুষের মধ্যে নিজেদের দেশ ও মাটি ফিরে পাওয়ার আকাক্সক্ষা তীব্র। এ আকাক্সক্ষা থেকে তারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য সংগঠিত হতেই পারে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে সে ধরনের কোনো বক্তব্য আমরা পাইনি।
তার ভাষ্য, নেতৃত্বহীন অসহায়, ধর্মভীরু রোহিঙ্গাদের মধ্যে ধর্মের নাম নিয়ে কাজ করা খুব সহজ। আর সেটাকে কাজে লাগাচ্ছে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো। তারা তাদের কখনো অখণ্ড আরাকানের স্বপ্ন দেখায় আবার কখনো সশস্ত্র পন্থায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখায়। এভাবে তাদের ব্যবহার করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াত-হেফাজতসহ বিভিন্ন ইসলামী দল এখানে নানাভাবে স্বার্থ হাসিল করছে। ত্রাণ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মসজিদ বানানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা তারা বিভিন্ন ইসলামি দেশগুলো থেকে সংগ্রহ করে। আশঙ্কা থেকে যায়, সেসব অর্থ দিয়ে তারা দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করবে আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেবে। এর মধ্য দিয়ে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে যে শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তি করেছে সেটিকে নানা কায়দায় ব্যর্থ ও প্রলম্বিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি গোষ্ঠী। রোহিঙ্গারা এ দেশে দীর্ঘস্থায়ী হলে জামায়াত-হেফাজতের লাভ। তারা এখান থেকে নানা স্বার্থসিদ্ধি করছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এফআইএফ নামের কোনো এনজিওর সঙ্গে জামায়াতের কেউ জড়িত নয়। যেসব ব্যক্তি ওই এনজিওর সঙ্গে জড়িত তারা কেউ জেলা বা উপজেলা জামায়াতের নেতাও নন। তিনি বলেন, হয়তো ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা এসব কাজ করতে পারেন। তবে তাদের দায় জামায়াত নেবে না।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো এনজিও সরকারবিরোধী কাজ করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ১২টি এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এফআইএফের কোনো কার্যক্রম পরিচালনার খবর আমার জানা নেই।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, শরণার্থী শিবিরে জঙ্গি কার্যক্রমের সম্ভাবনাকে আমরা নাকচ করছি না। কারণ নির্যাতিত নিপীড়িত ও অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ধর্মের দোহায় দিয়ে সহজেই জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। ইতোমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখনো পর্যন্ত কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রকাশ্য অস্তিত্ব আমরা খুঁজে পাইনি। সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাদের আমরা নজরে রেখেছি।
আমাদের মাথায় আছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো অশুভ শক্তি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাতে রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উখিয়ার ৬টি ও টেকনাফের ১টি ক্যাম্পে পুলিশের ১ হাজার ফোর্স কাজ করছে। এ ছাড়া ১১টি চেকপোস্ট ২০টি মোবাইল টিমসহ সার্বক্ষণিক টহল ব্যবস্থা রয়েছে ক্যাম্পগুলোতে।