ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক কেজি পেঁয়াজের বিমানভাড়া ১৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

ঘাটতি মেটাতে উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করতে গিয়ে কেজি প্রতি ১৫০ টাকার মতো ভাড়া দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, মানুষের উপকারের জন্য সরকার এটা করেছে। বর্তমানে বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এতে দামও কমছে। বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

পেঁয়াজের উচ্চমূল্য প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় মুনাফা কতটা করা যাবে, তার কোনো মানদণ্ড নেই। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল, সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ পেঁয়াজ তো আমদানি হয়েছে আগে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। তাদের যখন ধরা হয়, তারা বলেন, এখন সুযোগ পেয়েছেন বলে লাভ করেছেন। যখন লোকসান হয়, তখন তো কেউ খোঁজ নিতে আসে না। তবে পেঁয়াজের দাম এমন একটা পর্যায়ে থাকা উচিত, যেখানে কৃষকের লোকসান হবে না। মানুষেরও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এজন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ করার আছে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. আবদুর রউফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালে সমস্যাসংকুল বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। দ্বিতীয়টি হলো ২০০৭ সালে। ওই সময় খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগাম বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেনি। ফলে ১১-১২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিকে একটি মূল্যস্ফীতির ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে আমি কাজ করেছি, তারা পুঁজিবাজার সম্পর্কে বেশ অজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে, সেটাকে নিয়ন্ত্রণ না করার ফলে শেয়ারবাজার রমরমা হয়ে যায়।’

এসময় বক্তারা বলেন, এবারের পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা তথ্যের ঘাটতির জন্য হয়েছে। পেঁয়াজের উৎপাদন ১৮ লাখ টনের বেশি হবে না। পেঁয়াজের আমদানিকারক ২৫০ থেকে ৩২০ জন। এত লোক মিলে সিন্ডিকেট করা যায় না।

এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেছে, পেঁয়াজের উৎপাদন ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, উৎপাদন ১৮ লাখ টন।

 
Electronic Paper