প্রবৃদ্ধি ৮.১৫ শতাংশ
৩৮০ টাকা বাড়ল মাথাপিছু আয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৬:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি দুটিই বেড়েছে। দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এখন (২০১৮-২০১৯ অর্থবছর) এক হাজার ৯০৯ ডলার, যা টাকার সমপরিমাণে এক লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা। এ অর্থবছরের ৮ মাসে মাথাপিছু আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল এক হাজার ৯০৯ ডলার বা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায় মাথাপিছু আয় ৩৮০ টাকা বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ডলারে সমপরিমাণ হলেও টাকার অঙ্কে বেড়েছে।
গতবছরে এই অঙ্ক ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। গতবছর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় দেশে পরিচালিত সব প্রকল্পের বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। মাথাপিছু আয় একই হলেও টাকার হিসেবে ৩৮০ টাকা বেড়েছে। নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সভা সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের চূড়ান্ত মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করা হয়েছে। গতবছর কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, বর্তমানে তা হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ, গতবছর একই সময়ে ছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, গতবছর একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণসহ ৯২৪১ কোটি ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি ১ লাখ এবং ঋণ সহায়তা আসবে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের ২১তম একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা হয়।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ ও ১১৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক (জেড-৮২০৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের (এন-৭০৪) কুষ্টিয়া শহরাংশ চারলেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প এবং ‘নাগেশ্বরী-কাশিমপুর-ফুলবাড়ী-কুলাঘাট-লালমনিরহাট জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলার তিনটি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) (প্রথম সংশোধন)’ অনুমোদন দেওয়া হয়।