পিছিয়ে বেবিচক, বিপাকে দেশি এয়ারলাইন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নানা দুর্বলতার কারণে বিপাকে পড়েছে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো। ফলে দূরপাল্লার লাভজনক রুটে ডানা মেলতে পারছে না দেশীয় উড়োজাহাজগুলো। এ কারণে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারে বিদেশি এয়ারলাইন্সের তুলনায় এখনো পিছিয়ে রয়েছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো।
অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্যাটাগরি-২-এ অবস্থানের কারণে স্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলো পিছিয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত বছর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেশীয় যাত্রী প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ২০ শতাংশের ওপরে। যা চলতি বছর আরও বেড়েছে। সামনের বছরেও এ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিশাল এই প্রবৃদ্ধির সিংহভাগই যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ঝুলিতে। দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো এ বিষয়ে অনেক পিছিয়ে। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না পেলে নিকট-ভবিষ্যতে দেশীয় এয়ারলাইন্সের প্রবৃদ্ধির হার আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ক্যাটাগরির ইতিবাচক পরিবর্তনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং ক্যাটাগরি-১-এ আমরা পৌঁছতে পারব।
জানা গেছে, বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বর্তমানে বাংলাদেশে সপ্তাহে ৩২৫ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিপরীতে দেশীয় চারটি এয়ারলাইন্স মিলে মোট ২২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সে হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ১০৩টি অর্থাৎ ৩২ শতাংশ ফ্লাইট কম চালাচ্ছে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সম্প্রতি জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৩টি দেশের প্লেন চলাচল চুক্তি রয়েছে।