ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১৩৭ টাকায় কেনা পেঁয়াজ ২২০ টাকায় বিক্রি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

ঘাটতি, সরবরাহ কম অজুহাতে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন আড়তদার ও মজুতদাররা। মোকাম থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩৭ টাকায় কিনে বিক্রি করছে ২২০ টাকা দরে। পাইকারিতেই কেজিতে লাভ হচ্ছে ৮৩ টাকা! শনিবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের আড়ত পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানেই এর প্রমাণ মিললো।

অভিযান চলাকালে মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ে পেঁয়াজের ক্রয় রসিদ দেখতে চাওয়া হয়। রসিদে ক্রয় মূল্য লেখা ১৩৭ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করছে ২২০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারিতে কেজিতে লাভ করছে ৮৩ টাকা, যা দেখে অবাক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম।

অভিযান পরিচালনাকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় রসিদের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ নভেম্বর ১৩৭ টাকা কেজি এবং ১৪ নভেম্বর ১৫৫ টাকা কেজি মূল্যে ক্রয় করে স্টক করেছে, যা সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রয় করছেন কেজি ২২৯ টাকা।

১৩৭ টাকায় কেনা পেঁয়াজের ক্রয় মূল্যের সঙ্গে খরচ পরিবহন ভাড়া যোগ করলে সর্বোচ্চ মূল্য ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ২২০ টাকা বিক্রি করছে। এটা কীভাবে সম্ভব? অর্থাৎ ক্রাইসিস তৈরি করে তারা অনৈতিকভাবে দাম বাড়িয়েছে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ হতে পারে না।

এরা মজুত করে পেঁয়াজের মূল্য বাড়াচ্ছে। আসলে তারা জনগণকে জিম্মি করে বাড়তি মূল্য আদায় করছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা জুলহাস মীর জানান, আগের রসিদ দেখে জরিমানা করা হয়েছে। আগে কম কেনা হলেও আজ কিনতে হয়েছে ২১০ টাকা দরে। পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ নেই উল্টো লস হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় দাম বেশি নিচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান দাম লিখে রেখেছে ২১০ টাকা কিন্তু বিক্রি করছে ২২৫ ও ২৩০ টাকায়। কিন্তু তাদের পেঁয়াজ কেনা ১৮০ টাকা। তার মানে অনিয়মের কারণে বেশি দাম বাড়ছে।

অভিযান চলাকালে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা না টানিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে কারসাজি করা, প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে মেসার্স বদিউজ্জামান অ্যান্ড সন্সকে ২০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার, রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়কে ৩০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে ২০ হাজার, নিউ ভাই ভাই বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকাসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, আড়তদাররা জানিয়েছেন বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং ঈশ্বরদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হয়েছে, যা ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। আশা করছি দাম কমে যাবে।

 
Electronic Paper