ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিপর্যয়ে দেশ, তবুও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প

সৈয়দ ফয়সাল
🕐 ১০:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০১৯

দেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকে চরম হুমকির মুখে ফেলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ৩০টি করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এর বিরোধিতা করছে গবেষণায় জড়িত ৫টি সংগঠন। তারা বলছে, এসব প্রকল্প কার্বন বিস্ফোরণজনিত বিষয়। যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ এবং জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকে চরম হুমকির মুখে ফেলবে। দেশের পরিবেশের জন্য এটি বিপর্যয়কর পরিকল্পনা।

গবেষণায় যুক্ত সংগঠনগুলো হলো-মার্কেট ফোর্সেস, থ্রি ফিফটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং ওয়াটার কিপার্স। সম্প্রতি ‘কয়লায় শ্বাসরুদ্ধ : কার্বন বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৩ গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনায় বড় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে চীন, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যমান ৫২৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৩৩ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট যা বায়ুমণ্ডলে বার্ষিক ১১ কোটি ৫০ লাখ টন কয়লাভিত্তিক কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ করবে।

যুক্তরাজ্য ও জাপান নিজেদের দেশে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত করলেও এখানে ওই দুটি দেশ তিনটি করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অর্থ জোগান দিচ্ছে। প্রতিবেদন মতে, বড় আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা মূলত বৈদেশিক ঋণ সহায়তানির্ভর যা বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

এতে বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য আরও প্রকট হবে। কিন্তু ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে কয়লা ছাড়াই পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব। কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবর্তে স্বল্প খরচে সৌরশক্তি ও বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশ চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাজ্য ও জাপান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে এসেছে। তারা যে পথ থেকে সরে এসেছে আমরা সে পথে যাচ্ছি। তাদের ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সরকার এটি করছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রগতি যথেষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন যে আত্মঘাতী, সেটি বেছে নেওয়া যাবে না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

 
Electronic Paper