ইউটার্ন নিয়েছেন মেনন: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:২৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ইউটার্ন নিয়ে এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি বলে গত শনিবার বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক সভায় বলেছিলেন মেনন। তিনি বলেছিলেন, আমিও নির্বাচিত হয়েছি। তারপরও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।
মেননের ওই বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। সরব ছিল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। সমালোচনার মধ্যেই পরদিন নিজের সুর বদল করেন ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা। ঢাকায় এক আলোচনায় মেনন বলেন, ‘বরিশাল জেলা পার্টির সম্মেলনে আমার একটি বক্তব্য সম্পর্কে জাতীয় রাজনীতি ও ১৪ দলের রাজনীতিতে একটা ভুল বার্তা গেছে। আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ উপস্থাপন না করে অংশ বিশেষ উত্থাপন করায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।’
মেননের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে এত কথা, এত কেচ্ছা, তখন কেন তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলতে বললেন। অবশ্য রাশেদ খান মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। অলরেডি তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (মেনন) বলেছেন তিনি এভাবে বলেননি, তার বক্তব্যটা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি একটা দলের সভাপতি পত্রপত্রিকায় নানান ধরণের খবর আসছে এর প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়ও আছে। তাদের দলের মূল্যায়নে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনগুলো সে বিষয়ে আমার মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন তারা নিজেরা আলাপ আলোচনা করেছেন, বিষয়টা আলাপ আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসারকে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও নেত্রী তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এটা অলরেডি আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা প্রস্তুতি নিতে থাকেন। নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারিখ আমি পরে আপনাদের জানিয়ে দেবো। এখানে একটা বিষয় আছে যে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের প্রথম দিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করছে। কাজেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করলে সেটা বেশিদিন বাকি নেই। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেরও একটা প্রস্তুতি নিতে হবে।