বুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঠের আন্দোলন স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা মাঠের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুয়েট শহীদ মিনার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা আমাদের দাবি পূরণের বিষয়ে প্রশাসনের ইতিবাচক মনোভাব পর্যবেক্ষণ করছি।
শিক্ষার্থীরা আবরারের খুনীদের স্থায়ী বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম বয়কট করারও ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের মাঠের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছি, তবে প্রশাসন আমাদের সমস্ত দাবি যথাযথভাবে মেটানো নিশ্চিত করে কিনা তা আমরা পর্যবেক্ষণ করব। চার্জশিটের [আবরার হত্যা মামলার] তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসন অভিযুক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাস ও পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেব না।’
শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান, যা আবরারের হত্যার বিচার নিশ্চিত করার পথ পরিষ্কার করেছে।
যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তরা তিথি বলেন, সব ধরণের সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বুধবার দুপুরে গণশপথ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।