ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খুব অল্প সময়ে আবরার হত্যার চার্জশিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘বুয়েটে আপনারা নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছেন। এটা কারো কাম্য নয়। কেন এই হত্যাকাণ্ড, কী উদ্দেশ্য ছিল সবকিছু এখন তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই মামলার পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট প্রদান করতে পারব।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন যারা যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল কিংবা যারা যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করেছি। আমরা ১৪ জনকে ইতোমধ্যে ধরেছি। তারপর আরও যদি কেউ জড়িত থাকেন। সবাইকে আমরা ধরব।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে হলগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে শুধু শুদ্ধি অভিযান নয়, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে অত্যন্ত শক্ত ভাষায় কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যারা এই দুষ্কৃতিকারী, যারা এই ধরনের কাণ্ডকারখানা ঘটায়, সেটার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা সেই বিষয়ে কঠিন ও কঠোর। তিনি পাশাপাশি এই কথাও বলেছেন, কোনো ইনফরমেশন (তথ্য) কিংবা কোনো কিছু থাকে কিংবা নাও থাকে তাহলে প্রত্যেকটি ছাত্রাবাস যেন তল্লাশির আওতায় নিয়ে আসা হয়।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে কক্ষে (২০১১) আবরারকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটি ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ওই শিক্ষার্থী পূজায় বাড়ি ছিল। তবে অমিত সাহা কোনও ফ্যাক্ট নয়। জড়িত যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আবরারের বাবা যে মামলা করেছেন সে মামলায় নাম নেই তার। বাইরেও কাউকে কাউকে পুলিশ আটক করেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি পুলিশ যথাসময়ে তাদেরকে (আবরার হত্যাকারী) অ্যারেস্ট (আটক) করতে সক্ষম হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে হল থেকে তারা বেরুতে পারেনি, এর আগেই তারা ধরা পড়েছে।’

বুয়েট ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং হয়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, র‌্যাগিং কালচাল পুরানো। বুয়েটে বেশি হয় এই কালচার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম তথ্য আসেনি। যারা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেন তাদের দায়িত্ব এসব দেখা।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা আশা করি খুব শিগগিরই, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই মামলার পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট প্রদান করতে পারব। আমাদের পুলিশ সেই কাজটি করছে। একটা নিখুঁত চার্জশিট দিয়ে বিচারের কাজটি দ্রুততার সাথে শেষ হয়, আমরা সেই কাজটি সহজতর করব।’

 
Electronic Paper