দিবসটি পালন উপলক্ষে শিল্পীর নিজস্ব বাসভবন ও শিশুস্বর্গে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআনখানি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মেছের আলী, মাতা মোছাম্মৎ মাজু বিবি। মা আদর করে তার চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া।

১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালীন বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়।

সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী, যার ছবি এসব শিল্পীর ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে। কালোত্তীর্ণ এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক পান।