আবরারের বাড়ি যাচ্ছেন বুয়েটের ভিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়ার বাড়ি যাচ্ছেন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুধবার সকালে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন বলে নিশ্চিত করেছেন ভিসির একান্ত সহকারী কামরুল ইসলাম।
কামরুল ইসলাম জানান, আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ভিসি স্যার সকালেই কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। বিকেল তিনটা নাগাদ তার আবরারের বাড়িতে পৌঁছার কথা। সেখানে তিনি আবরারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে আবরার হত্যার প্রায় দুইদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন বুয়েটের ভিসি। এমনকি আবরার জানাজায়ও অংশ নেননি তিনি। অবেশেষে গতকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি।
এদিকে এ মামলায় ১০ ছাত্রলীগ নেতার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ মামলায় রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান ও মেহেদী হাসান রবিন।
আবরার হত্যায় এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও একই ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।