ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেরুচ্ছে থলের বিড়াল

অপেক্ষা ঘণ্টা বাঁধার

ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গত শনিবার যুবলীগের নেতাদের নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার এই কঠোর বার্তার চার দিনের মাথায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার নিয়ন্ত্রাধীন ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এক সময়কার ফুটবল ক্লাব ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব দখল করে সেখানেই জুয়া, মাদকের জমজমাট আসর বসিয়েছিলেন খালেদ। তার আস্তানা থেকেই আটক করা হয় ১৪২ জনকে। উদ্ধার করা হয় অত্যাধুনিক ক্যাসিনো বোর্ড, ২৪ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মাদক।

শুধু ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব নয় র‌্যাবের অভিযানে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে ক্লাবের আড়ালে রাজধানীর বিভিন্ন অবৈধ ক্যাসিনোর অন্দরমহলের খবরাখবর। খোদ অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্তরাই শিউরে উঠছিলেন ক্যাসিনোর ব্যাপার স্যাপার দেখে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার মাঝেই প্রশ্ন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার চোখের সামনে বছরের পর বছর ধরে এসব অবৈধ ক্যাসিনো কীভাবে চলল।

এর সদুত্তর কারও কাছেই যেন নেই। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেছেন, তার সংগঠনের কেউ ক্যাসিনোর চালানোর সঙ্গে জড়িত কিনা তিনি তা জানেন না। গত পরশু এক অনুষ্ঠানে তিনি হঠাৎ করে র‌্যাবের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, তারা (র‌্যাব-পুলিশ) কি বসে বসে এতদিন আঙ্গুল চুষছিলেন। তবে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানান ওমর ফারুক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে গতকাল সাংবাদিকরা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে জানতে চান, আপনারা কি এতদিন ক্যাসিনো নিয়ে কিছু জানতেন না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সে তথ্যের আলোকে এ অভিযান চালানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু এখন না, আমরা আগেও এ রকম অভিযান চালিয়েছি।’

উদাহরণ হিসেবে তিনি কলাবাগান ও কাওরানবাজারের দুটি ক্লাবে অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযানে ওই ক্লাব দুটির অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আপনারা তৎপর হয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পরিষ্কার। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি আমরা অনুসরণ করছি। উনি যেভাবে নির্দেশনা দেন সেভাবে আমরা কাজ করছি।’ ক্যাসিনোর কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের লোকও জড়িত ছিল এমন তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ রকম কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

গত পরশুর অভিযানে রাজধানীর ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের গডফাদার খালেদ মাহমুদ ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতারের পর র‌্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জানা গেছে, এ জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার ক্যাসিনো বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাভোগীদের নাম বলেছেন। খালেদের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরের পর তাকে পুলিশে হস্তান্তর করে র‌্যাব। অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা, মাদক আইন, অস্ত্র আইন ও মুদ্রা পাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর বাড়ছিলই। সূত্র বলছে, মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনো বসে। চলে মদ ও নারীর আড্ডা। এ ছাড়াও খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন নিয়মিত টাকা উত্তোলন করা হয়। তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন বেশ কয়েক কোরবানির হাট। নিয়ন্ত্রণ করেন টেন্ডারও। র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীর কমলাপুরে তার টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে নির্যাতনের নানা আধুনিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‌্যাব। চাঁদা কেউ না দিলে ওই টর্চার সেলে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হতো। এ ছাড়া খালেদের পাহারায় অস্ত্রধারী ক্যাডাররা সবসময় থাকত।

খালেদের আস্তানায় অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে চাউর হয়, যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার হচ্ছেন। কেননা রাজধানীজুড়ে যে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্যাসিনো সাম্রাজ্য তার একচ্ছত্র সম্রাট ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার বেপরোয়াপনা কর্মকাণ্ডের প্রতি তীব্র ক্ষোভ দেখান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদ গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার এড়াতে গতকাল রাতে কাকরাইলে তার কার্যালয় ঘিরে রাখে কয়েকশ যুবলীগ নেতাকর্মী।

সূত্র বলছে, সম্রাট, খালেদ কিংবা যুবলীগ নেতা নন রাজধানীতে ৬০টিরও বেশি যে ক্যাসিনো চলছিল এগুলোর পেছনে বড় পৃষ্ঠপোষক রয়েছেন। পর্দার আড়াল থেকে থেকে যারা শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলছিল এসব অবৈধ ক্যাসিনো। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের পর একের পর এক ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযানে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। এখন এই বিড়ালের গলায় ঘণ্টা পরানো মানে এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত দৃশ্যের আড়ালের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার অপেক্ষা। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই কেবল ভবিষ্যতে কেউ এমন অপকর্মে জড়িত হওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস পাবে না।

ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো
গত পরশু যে চারটি ক্যাসিনো আস্তানায় অভিযান চালানো হয় তার তিনটিই ঢাকার নামি ক্লাব। এগুলো হলো ফকিরাপুলের ‘ইয়ংমেন্স ক্লাব’, গুলিস্তানের ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র’, মতিঝিলের আরামবাগে ‘ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব’। এক সময়কার দাপুটে এ সব ক্লাবে এখন খেলা হয় না বললেই চলে। ক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণের ভূমিকাতেও আর খেলোয়াড়রা কিংবা সংগঠকরা নেই, আছেন সরকারদলীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে সর্বোচ্চ মহল থেকেই। এ সব ক্লাবে কীভাবে খেলাধুলা বিদায় নিয়ে নিষিদ্ধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালু হলো তা নিয়ে নানা ধরনের মত পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এসব ক্লাবে দীর্ঘকাল ধরেই জুয়ার চর্চা ছিল, কিন্তু অনুমোদনহীন ক্যাসিনো কিভাবে হলো তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ক্লাবগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, আবাহনী মোহামেডানসহ অন্য প্রায় সব ক্লাবেই জুয়ার প্রচলন প্রচলন ছিল আশির দশক থেকেই। সেটি করা হতো মূলত ক্লাবের পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য। তখন মূলত ওয়ান-টেন নামে একটি জুয়া হতো। যেটি হাউজি নামেও পরিচিত ছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় ক্লাবে ক্যাসিনো সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে কলাবাগান ক্লাবের হাত ধরে। এটা হয়েছে ৭-৮ বছর আগে। এ সময়েই স্লট মেশিনসহ জুয়ার আন্তর্জাতিক মানের বোর্ড আসতে থাকে। প্রথমে সব ক্লাবে বাকারা নামে একটি খেলা হতো পরে যোগ হয় রুলেট নামে আরেকটি খেলা। এসব ক্যাসিনো পরিচালনা করতে নেপাল, তাইওয়ান, চীন থেকে প্রশিক্ষিত লোক আনা হয়। নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীও গড়ে তোলা হয়। চলে অবৈধ মাদকের জমজমাট ব্যবসা। আর এসব ক্যাসিনোতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছিলেন শত শত মানুষ। আবার এখান থেকে অর্জিত শত শত কোটি টাকা হুণ্ডির মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছিল।

যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চারটি ক্যাসিনোতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। খালেদসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় পরিচালনাধীন একাধিক ক্যাসিনো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে মোট ১৮২ জনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া জব্দ করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা, মদ ও বিয়ারসহ জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম।

ক্লাবের আড়ালে ক্যাসিনো, ক্যাসিনোর আড়ালে মাদক
র‌্যাবের অভিযানে যে চারটি ক্যাসিনোকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে তার তিনটিই ক্লাব। ক্লাবকে সামনে রেখে সেখানে চলছিল ক্যাসিনো। আর ক্যাসিনোর আড়ালে চলছিল মাদক। অভিযানে সিলগালা করে দেওয়া ক্যাসিনোগুলো হলো, ফকিরাপুলের ‘ইয়ংমেন্স ক্লাব’ ক্যাসিনো, বনানীর ‘গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ’ ক্যাসিনো, গুলিস্তানের ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র’ ক্যাসিনো এবং মতিঝিলের আরামবাগে ‘ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব’ ক্যাসিনো।

র‌্যাবের এই অভিযান শুরু হয় বুধবার বিকেলে। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। ইয়ংমেন্স ক্লাবে আটক করা ১৪২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে ৩১ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের ১৬ জন ক্যাসিনোর কর্মী। বাকিদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাব। অভিযানে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ও বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটক স্টাফদের মধ্যে দুই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইয়ংমেন্স ক্লাবের পাশে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। ক্লাবটি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ পরিচালনা করেন। তার সহযোগী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি মোল্লা কাউসার। এখানে জুয়ার বোর্ড রয়েছে ১২টি। এখান থেকে মদ, বিয়ার ও বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করা হয়।

রাজধানীর গুলিস্তানের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় জুয়ার বোর্ডসহ মাদক দ্রব্য পাওয়া গেছে। ক্লাবটি থেকে ৩৯ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ক্লাব থেকে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, কষ্টিপাথর, মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। ক্লাবটিতে থাকা ৭টি জুয়ার বোর্ডের মধ্যে দুটি ভিআইপিদের সংরক্ষিত ছিল।

র‌্যাব জানায়, এই ক্লাবটিতে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ক্লাবটির পরিচালনা বোর্ডের কিছু সদস্য এর জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে। জুয়ার পাশাপাশি ক্লাবটির ভেতরে মদ-বিয়ার ইত্যাদির বেচাকেনা চলতো। কথিত ভিআইপিরা এই ক্লাবে জুয়ার আসরে বসতেন। তাদের খুঁজে বের করা হবে।

বনানীর আহম্মেদ টাওয়ারের ‘গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ’ নামক ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-১। অভিযানের খবর পেয়ে ক্যাসিনোর লোকজন পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় ক্যাসিনোর ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সামগ্রী পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এই ক্যাসিনোটির মালিককে খোঁজা হচ্ছে।

 
Electronic Paper