কিশোর আন্দোলনের ১৩ মাস
শৃঙ্খলা তথৈবচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর আন্দোলনের ১৩ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত পাল্টায়নি সড়কের চেহারা, থামেনি মৃত্যুর মিছিল। সোমবারও ৫ জনের বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন।
২০১৮ সালের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজে পড়ুয়া কিশোরদের সড়কে আন্দোলন ছিল নজিরবিহীন ঘটনা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে এর আগে বিশ্বে কখনো এই রকম আন্দোলন হয়েছে বলে কারও জানা নেই। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষিতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) নিহত হয়।
এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মনে নাড়া দেয়। পরবর্তীতে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান মিডিয়ায় হেসে হেসে ওই ঘটনার বর্ণনা দিলে সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে টানা ৭ দিন সারাদেশের সড়ক ব্যবস্থা অচল করে দেয় কিশোররা। এরপরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিরাপদ সড়কের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো সড়কের বাস্তবতা আগের মতো তথৈবচ।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা কমাতে সবশেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে প্রধান করে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয় বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান।
এর আগে গত আগস্ট মাসে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন গঠিত কমিটি দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে ১১১টি সুপারিশ করেছে। আর সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গণপরিবহনে মাসিক বেতনের ভিত্তিতে চালক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রধান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নতুন পরিবহন আইন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। সড়কে নিরাপত্তা ফেরাতে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন- সড়ক নিরাপদ করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।