ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যক্রম। বুধবার বেলা ১১টা ৬ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের (বিপিডব্লিউটি) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯টি।

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউহুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিপি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন। এছাড়াও নিজ বক্তব্যে পুলিশের নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এছাড়াও পুলিশের জন্য বর্তমান সরকারের দেয়া নানা সুযোগ সুবিধাগুলো তুলে ধরেন তিনি।

এ কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিহুল হক চৌধুরী।

যাত্রা শুরুর দিন থেকেই রাজধানীর গুলশান-১ এ পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে কর্পোরেট শাখাসহ মতিঝিল, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামে এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার বক্তব্যে বলেন, এ ব্যাংকে যেন গ্রাহকের আমানতের টাকা নিরাপদ থাকে এবং কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়ার রাখতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে আমরা সত্যি আনন্দিত। আশা করছি পুলিশের প্রতিটি সদস্য সচ্ছল হবে এবং বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের বেতন দেয়া হবে। আপাতত পুলিশ সদস্যরাই হবেন এ ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। এর লভ্যাংশ যাবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। ব্যাংক লাভজনক হলে তিন বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাংকটির।

২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকে ‘কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ’ দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন এ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়। ওই বছরের ১ নভেম্বর সেটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

 
Electronic Paper