ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশ্রয়ের দুই বছর

বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে রোহিঙ্গারা

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণের দুই বছরপূর্তি হয়েছে আজ। দিনটিকে ব্যাপক আকারে ৩০টি ক্যাম্পে পালন করতে রোহিঙ্গারা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

গত বছরও রোহিঙ্গারা ক্যাম্পগুলোতে তাদের পলায়নের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছিল। জাতিসংঘের কিছু সংস্থা ও দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর সহযোগিতায় এবারের বর্ষপূর্তি উদযাপনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে বলে জানা গেছে। কারণ তারা সমন্বিতভাবে ২২ আগস্টের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা বানচাল করতে সক্ষম হয়েছে।

ক্যাম্পগুলোতে গত ১৫ দিন ধরে রোহিঙ্গা নেতারা ডোর টু ডোর কাজ করেছেন। রোহিঙ্গা নেতারা সব ক্যাম্পে ২৫ আগস্ট ব্যাপকভাবে পালন করার জন্য সাধারণ রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্বুদ্ধকরণ সভা-সমাবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এবার সব ধরনের নারী, শিশু ও পুরুষদের সম্মিলিতভাবে প্রতিটি ক্যাম্প নিজ নিজ নেতা ও মাঝিদের নেতৃত্বে মিছিল, মিটিং ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা জানায়। বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নানা সংগঠনের নেতারা ক্যাম্পগুলোতে তাদের অনুসারী নেতারা ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি নিলেও কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাচ্ছে না বলে জানা যায়।

এদিকে গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নির্ধারিত দিনে নানা উসকানি ও প্ররোচনায় তা বানচাল হওয়ায় এবার রোহিঙ্গারা অধিক উৎসাহে ২৫ আগস্ট পালন করছে বলে জানা যায়। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বা এআরএসপিএইচ, ভয়েস অব রোহিঙ্গা যৌথভাবে তাদের গৃহীত কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

এ দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পগুলোর বিভিন্ন ব্লক মাঝিকে প্রয়োজনীয় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। উখিয়ার ২০টি ক্যাম্প থেকে একই সময়ে ২৫ আগস্ট বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্পের মাঠে সমবেত হওয়ার কথা। এ দুটি রোহিঙ্গা সংগঠন তাদের দেশি-বিদেশি নেতাদের সমন্বয়ে কর্মসূচির যাবতীয় সরঞ্জামাদির খরচ মেটাচ্ছে বলে জানা যায়।

প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে সাদা কাপড় পরে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ রয়েছে। বিশাল আয়োজন, ব্যানার, মালামাল, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ইত্যাদির জোগানদাতা ও খরচ বহনকারীরা বরাবরই আড়ালে থেকে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিমত।

উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল মনসুর বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ২৫ আগস্ট পালন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের ইনচার্জরা দেখভাল করবেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এখনো এ ব্যাপারে সরকারের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

 
Electronic Paper