সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতর
ডেঙ্গু আর বাড়বে না
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৯
রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কিছু দিনের মধ্যেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এমন আশা প্রকাশ করেছেন সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
সোমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিম্নগতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি রোগীর সংখ্যা আর বাড়বে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ডেঙ্গুবিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান, অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার।
ডা. তহমিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬১৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এ সময়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৫০ জন। এ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭৫৭ জন এবং ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬ জন। ঢাকার বাইরে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৮ জন এবং ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ হাজার ৪৪ জন। অধ্যাপক ডা. তহমিনা বলেন, আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫ শতাংশ কমেছে।
তিনি জানান, সোমবার সারা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৩৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ভর্তি থাকা রোগী সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে ৩ হাজার ৩১৪ জন। আগের দিনের তুলনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ কমেছে।
ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, এর মাধ্যমেই আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে অর্থাৎ রোগীর হারে নিম্নগতি। আশা করছি এটা আর বাড়বে না। এটা সম্ভব হয়েছে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আপামর মানুষ সচেতন হয়েছে বলে।
তিনি জানান, গতকাল সকালেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের হাসপাতালের ডিরেক্টর, লাইন ডিরেক্টরদের উপস্থিতিতে, সিভিস সার্জন ও ইউএইচএসপিএদের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে এর প্রতিকার, প্রতিরোধ এবং এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।