বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৬:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, আতাউর রহমান ও সিরাজ উদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হযরত আলী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল, যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার সারা জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এ দেশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ছিল। এমনকি ঐ সময় বিদেশী অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত- বলত এ দেশ টিকবেনা। সেই দেশ এখন আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ- মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের উপর এ ঘটনা একটি কলঙ্ক - যা কখনো মোচন হবেনা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা থমকে দাড়ায় ১৯৭৫ সালে। তিনি যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে- তথা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রত নিয়ে তার কন্যা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ১৯৯৬ সালে দেশকে নেতৃত্বের দেওয়ার সুযোগ পান, এর পরের পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। এ তিন মেয়াদে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। সকল পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সফলতা অর্জন করার সাথে সাথে, সামগ্রিক অর্থনীতিতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থিতিশীল সরকার থাকার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭.৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে (এডিবি রিপোর্ট)।
ভূমী মন্ত্রণালয়ের গণমুখী কাজের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী গুচ্ছগ্রাম ও ভূমিহীনদের জমি প্রদানের বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরেই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু দেশে জন-বান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার গোড়াপত্তন করেন। তিনি পরিবার প্রতি জমি মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘা নির্ধারণ করেন, ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করেন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও দেশব্যাপী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমি খাজনা মকুফ করা সহ ভূমি ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ভূমি সম্পর্কিত গণমুখী কর্মকা-গুলো মূলত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত কার্যক্রমের সম্প্রসারণ।