ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ আখ্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৯

জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড বা ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বক্তারা। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জাতিসংঘের কনফারেন্স রুম-৪ এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাতিসংঘের সদস্য দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, নিউইয়র্কস্থ যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মানবাধিকারকর্মী, লেখক, চলচ্চিত্র শিল্পী, টিভি উপস্থাপক, ফটোগ্রাফার এবং প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজন।

এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ সময় ১৫ আগস্টের শহীদদের উদ্দেশে মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার মাধ্যমে সকালের সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি শেষ হয়।

বিকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত শোক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় দেশি-বিদেশি অতিথিরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও বহুপাক্ষিকতাবাদ’ বিষয়ে কি-নোট স্পিচ প্রদান করেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন ভারত, সার্বিয়া ও কিউবার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক। প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। সাংস্কৃতিক পর্বে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা ও গান পরিবেশন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ স্বাগত ভাষণে বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জনগণের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি, গণতন্ত্র, শান্তি ও সহাবস্থানের আদর্শ তুলে ধরেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগামী বছর বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সে উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতরা। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা এবং স্থায়ী মিশন, কনস্যুলেট ও জাতিসংঘ সদর দফতরে কর্মরত বাংলাদেশের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আরও ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার মুকিত চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

 
Electronic Paper