ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শেষ সময়ে জমজমাট পশু বেচাকেনা

ঊর্ধ্বমূল্যে অসন্তুষ্ট ক্রেতা

এম কবীর
🕐 ৮:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯

ঈদের আর বাকি একদিন। তাই রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো বেশ জমজমাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ের মাঝে চলছে বেচাকেনা। বিক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতারা বলছেন এ বছর অন্য বছরের তুলনায় গরুর মূল্য অনেক। তবে মাঝারি আকারের গরুর মূল্য অর্থাৎ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। তাই অনেক ক্রেতাই অপেক্ষা করছেন শেষ দিনে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলে পছন্দের পশুটি কেনার। গতকাল শনিবার রাজধানীর স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে এসব চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই পশুর হাটগুলোতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

রাজধানীর পূর্বাচলের তিনশ ফিটে বিপুল পরিমাণ গরু উঠেছে হাটে। সকাল থেকেই ক্রেতাদের পদচারণা দেখে বিক্রেতারা অনেক খুশি। দুপর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। রাজধানীর সর্ববৃহৎ পশুর হাটখ্যাত গাবতলীতেও ক্রেতাদের ভিড়ে ভালোই বেচাকেনা হতে দেখা যায়। তাছাড়া, তেজগাঁও, আফতাবনগর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মেরাদিয়া, ভাটারার সাঈদনগর হাট, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠ, গোপীবাগ বালুর মাঠ ছাড়াও অন্যান্য মাঠে ক্রেতাদের ভিড়ে বেচাকেনা চলছে।

কমলাপুর পশুর হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে যাওয়া হাজী আব্দুল বারেক বলেন, প্রতি বছরই শেষ সময়ে গরুর মূল্য হয় বেশি না হয় একটু কম দামে পাওয়া যায়। এ বছর আনুপাতিক হারে গরুর দাম একটু বেশি। তবে লাখের উপরে কিনতে চাইলে সেটি মোটামুটি ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত গরু থাকার পরও কেন ব্যাপারিরা এত বেশি মূল্য চাচ্ছেন বিষয়টি বোধগম্য নয় বলেও জানান তিনি।

শরীফ নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি সকাল থেকেই তেজগাঁও পশুর হাটে এসেছেন। কিন্তু দামের কারণে পছন্দের গরুটি এখনো ক্রয় করতে পারেননি। আজ রবিবার অন্য হাট থেকে গরু ক্রয় করবেন তিনি।

কমলাপুর পশুর হাটে বিক্রেতা মামুন হোসেন জানান, এক সপ্তাহ আগে ১৬টি গরু নিয়ে এলেও আজ সবকটি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। বেশি লাভবান না হলেও সন্তুষ্ট সবগুলো গরু বিক্রি করতে পারায়। গরুর মূল্য বেশি ক্রেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, পশুর খাবারের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই গরুর মূল্য বেশি। তারপরও দেশি ভাােল গরুর মূল্য একটু বেশি হয়ে থাকে।

গাবতলী পশু হাটের শামছুল ব্যাপারি জানান, ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় এগুলো দ্রুত বিক্রি করতে পেরেছি। লাখ টাকার উপরে মূল্য রয়েছে এগুলো নিয়ে দরদাম হচ্ছে কিন্তু মূল্য এমন হাঁকাচ্ছে বাড়ি নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তারপরও অপেক্ষায় আছি লাভ বেশি না হলেও অন্তত কেনা মূল্যে যাতে বিক্রি করতে পারি। তবে এই হাটে পর্যাপ্ত গরু ও ক্রেতা সমাগম রয়েছে আশা করা যাচ্ছে বাকি দিনটাতে সবগুলো বিক্রি করতে পারব।

একইভাবে অন্যান্য হাটের ক্রেতা বিক্রেতা মাঝে গরু ক্রয় বিক্রয় নিয়ে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ অধিক সংখ্যক গরু হাটগুলোতে আসলেও বিক্রেতারা বেশি মূল্য হাঁকাচ্ছে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গবাদি পশুর খাবার ও অন্যান্য আনুষাজ্ঞিক মূল্য বৃদ্ধিও কারণেই গরুর মূল্য বেশি হাঁকাচ্ছেন। তবে ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যেও মাঝেই তাদের পছন্দেও পশু ক্রয় করতে পারছেন।

হাট ইজারাদাররা জানিয়েছেন, গরুর ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়টি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিষয়। তবে হাটগুলোতে অত্যন্ত সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত পরিবেশ বজায় রেখে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাঙ্কিত সেবা প্রদান করতে পেরেছি। আশা করি শেষ দিনেও এটা বজায় থাকবে। অন্যদিকে, সবগুলো হাটেই ভোক্তা অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারি করছে প্রশাসন।

 

 
Electronic Paper