ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অপুষ্টিতে আড়াই কোটি মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৯

ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। তবে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বাংলাদেশে প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। দেশে গত এক দশকে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৪২ লাখে পৌঁছেছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ প্রকাশিত ‘বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বাস্তবতা ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও), শিশু তহবিল ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফএডি) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্যোগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৮২ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৫১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ এশিয়া এবং ২৫ কোটি ৬১ লাখ মানুষ আফ্রিকার বাসিন্দা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০০৪-২০০৬ সালে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখে। তবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪-২০১৬ সালে এ সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ছিল। তবে ২০১৬-২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখে।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দশকের পর দশক ধরে অপুষ্টিজনিত পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তা অপরিবর্তিত আছে। তখন থেকে বিশ্বে পুষ্টিহীনতার শিকার মানুষের হার ১১ শতাংশ। কৃষির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব পড়ছে এবং কৃষকের সংখ্যা কমে গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বয়সের তুলনায় কম উচ্চতাসম্পন্ন পাঁচ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানের অগ্রগতি হয়েছে।

২০১২ সালে বয়সের তুলনায় কম উচ্চতার সমস্যায় আক্রান্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা যেখানে ৬৫ লাখ ছিল, ২০১৮ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা ও নারীদের রক্তশূন্যতা হওয়ার হার আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০১২ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ। ১১ লাখ বেড়ে ২০১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখে। একইভাবে ২০১২ সালে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যা যেখানে ১ কোটি ৭৪ লাখ ছিল, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখে।

 
Electronic Paper