ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আজ ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৯

আজ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুরু ২৭তম ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে মৎস সপ্তাহ। এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের স্লোগান ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং মৎস্য খাতে অবদানের জন্য নির্বাচিত ১৭ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ‘জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করবেন। তিনি ওই দিন বেলা ১১টায় গণভবনে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত এসব কর্মসূচির কথা আজ বাসস’কে জানিয়েছেন।

মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন ও অভয়াশ্রম স্থাপন, প্রজননক্ষম ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের লাগসই প্রশিক্ষণসহ ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এ সম্পদ ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মৎস্য খাত বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার এ খাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণ, বিল নার্সারি কার্যক্রম গ্রহণ ও মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ একটি অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’

সপ্তাহটি উদযাপন উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খানের নেতৃত্বে মৎস্যভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী ‘মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় তিন দিনের মৎস্য মেলারও আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া নেত্রকোণায় ৫ দিনের একটি ‘প্রযুক্তি ভিত্তিক মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।

সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলার মুক্ত জলাশয়, হাওর-বাঁওড়, খাল-বিল ও নদীতে ব্যাপকভাবে মৎস্য অবমুক্তির পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার পৃথকভাবে বঙ্গভবন ও সংসদের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের পুকুর ও লেকেও পোনা অবমুক্ত করা হবে। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান এবং মাছের আড়তে গণসচেতনতামূলক সভা সেমিনার ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হবে। শেষ দিন ২৩ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনীতে সপ্তাহের মূল্যায়ন এবং কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

 

 
Electronic Paper