ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গ্রামীণফোনের রাজস্ব বেড়েছে, সেবা...

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৯

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় বাড়লেও গ্রাহক সেবা বাড়েনি। বরং গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন কোম্পানিটি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছিল, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবে সেই সেবা দিচ্ছে না। ফলে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ৭০৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে মোট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছেন। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ৩ শতাংশ বেশি। একই সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহক ও আয় বাড়লেও সেবা বাড়েনি। উল্টো সেবা কমেছে। বিগত দিনে দেখা গেছে, কলড্রপের পরিমাণ বেড়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে তারা দাবি করলেও বিশালসংখ্যক গ্রাহকদের জন্য তারা সেবার মান না বাড়িয়ে বরং প্রতিশ্রুত সেবাই দিচ্ছে না। ফলে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

গ্রামীণফোনের একাধিক গ্রাহক খোলা কাগজকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট খুবই ধীরগতিতে কাজ করছে। আগে যেটা ছিল না। শুনেছি সরকার গ্রামীণফোনের কাছে রাজস্ব বাবদ টাকা পাবে, টাকা না দেওয়ায় সরকার গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপর। এখন গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কোনো কিছু ডাউনলোড দিলে ধীর গতিতে নামছে, যেটা আগে ছিল না।’

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গতকাল খোলা কাগজকে বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাবে। টাকা না দেওয়ায় বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে শাস্তিস্বরূপ ৩০% ব্যান্ডউইথ কম সরবরাহ করছে। ব্যান্ডউইথ কমানোর পরই থেকে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। ব্যান্ডউইথ কমানো গ্রামীণফোনের কোনো লোকসান হচ্ছে না বরং গ্রামীণফোন লাভবান হচ্ছে। বিটিআরসি হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। মোবাইল অপারেটররা ঠিক মতো গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের, তারা সেটা না করে বরং তাদের কর্মকা- দ্বারা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। বিটিআরসির কর্মকর্তারা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। যদি করতো তাহলে একটি বেসরকারি কোম্পানি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে তা তারা দেখছে না।

 
Electronic Paper