ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজস্ব বাড়াতে জেলা-উপজেলায় কমিটি চান ডিসিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৯

জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) রাজস্ব আয় বাড়াতে জেলা-উপজেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

তিনি বলেছেন, এ কমিটি করলে তারা আয়কর বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। রাজস্ব বোর্ড বলেছে- এটা ভালো প্রস্তাব। এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে এর ভেতরে কী আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এক অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ড. মশিউর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অফিসার নিয়োগ ও কর্মকর্তা বাড়ানোর প্রস্তাব অনেক আগেই সরকারের কাছে দিয়েছে রাজস্ব বিভাগ। এই দুইটির সঙ্গে একটি সমন্বয় করা প্রয়োজন। সে মুহূর্তে তারা এই বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করতে পারবেন।

‘জেলা প্রশাসকেরা যে সব বিষয় উত্থাপন করেছেন, তারমধ্যে বেশিরভাগ হলো ঋণ ও সরকারের ব্যয় বরাদ্দ কিভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায় এবং দ্রুত দক্ষতার সঙ্গে বিতরণ করা যায়। এর কতগুলো করা সম্ভব। তবে কিছু করা সম্ভব নয়, বাজেট বা হিসাব নিকাশ নিয়ে সমস্যা আছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা মানুষের প্রতি যে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’

ড. মশিউর রহমান বলেন, এটা আমার মনে হয় নতুন দিক। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে যেসব বাঁধা রয়েছে সেগুলো পরিবর্তন ও পরীক্ষা করে সমাধান করা।

ডিসিদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ ও একটি ব্যাংক চাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আজকের আলোচনায় আসেনি, গতকালই তারা এটি চেয়েছে। প্রস্তাবটা সরকারি নথিতে আসবে, তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

‘ডিসিরা সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, ঋণ বিতরণে কিছু সমস্যার কথা। সেগুলো হলো- কৃষিঋণ, মহিলা ঋণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণে বিতরণে অসুবিধা হয়। কারণ ব্যাংকে যে বরাদ্দ থাকে, ব্রাঞ্চ সেই ঋণ দিতে পারে না। মহিলারা অনেক সময় শর্ত পূরণ করতে পারে না। গরিব মহিলাদের অনেকের জমি নেই, থাকলেও বাবা-মা, স্বামী বা ভাইয়ের সমর্থন ছাড়া কিছু করতে পারে না।’

তিনি বলেন, আর এজন্য এই ক্ষুদ্রঋণ দিতে সমস্যা হয়। তাদের (ঋণগ্রহীতা) পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অনেক তথ্যও দিতে হয়। তাই এসব শর্ত সহজ করা যায় কি-না সে বিষয়েও প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা।

 
Electronic Paper