নতুন করে আশ্রয়হীন দুই হাজার রোহিঙ্গা
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯
সপ্তাহব্যাপী প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। ক্যাম্পের দুর্বল অবকাঠামোগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে অন্তত ৯ বার। বিভিন্ন স্থানে ১৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা শিবিরে এক হাজার মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট বন্যায় চার শতাধিক বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্যাম্প জীবনে নতুন করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন দুই হাজারেরও বেশি শরণার্থী। চলতি বর্ষা মৌসুম কীভাবে অতিক্রম করবেন, এ নিয়ে উৎকণ্ঠা রোহিঙ্গাদের মাঝে।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ি ভূমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। প্রকৃতির যে কোনো বৈরী আচরণে তারা একেবারেই অসহায়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস। শুধু বর্ষা নয়; যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পে মহড়া করেছে সরকার। বিগত দুটি বর্ষার অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
এরপরও বর্ষা মৌসুমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের মুখপাত্র জর্জ ম্যাকলয়েড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, চলতি বর্ষার মাত্র অর্ধেক সময় অতিবাহিত হলেও ইতোমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিগত বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে বর্ষা মৌসুম অতিক্রম করবেন; কীভাবেইবা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।